আপনি কি জানেন, টয়লেটে বসে সিগারেট খাওয়া আপনার শরীরের জন্য দ্বিগুন
ক্ষতিকর?? শুধু শরীরের নয় পরিবেশ ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরও এর প্রভাব ভোগ করতে
হয়। আসুন আমরা জেনে নিই টয়লেটে বসে সিগারেট খেলে আসলে কি হয় আর কেন এটি
এড়িয়ে চলা উচিত
টয়লেটে বসে সিগারেট খেলে স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ধূমপান
করা এমনিতে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ধূমপান করা একটা ব্যাধি। ধূমপান অনেক
সামাজিক বিপর্যয় নিয়ে আসে। আমরা একটু পথে ঘাটে তাকালে দেখব অসংখ্য মানুষ
জ্বলন্ত সিগারেট হাতে নিয়ে ঘুরছে। তাদের কাছে এটি কোন বড় বিষয় না।
তারা এটিকে স্বাভাবিক মনে করে। মনে করে সিগারেট খেলে কোন ক্ষতি
হয়না এটি আসলে জঘন্য কাজ। এর প্রভাব খুব মারাত্মক।
অনেক ধূমপায়ী মানুষ আছে যারা খোলা স্থানে ধূমপান করার পাশাপাশি বাথরুমে
বসেও ধূমপান করায় আসক্ত। খোলা স্থানে ধূমপান করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে
এবং বদ্ধ রুমে বা টয়লেটে ধূমপান করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ক্ষতি করে।
যারা সিগারেট খায় না তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেননা যে ব্যাক্তি ধূমপান করে
সে ব্যাক্তি ধূমপানের ধোঁয়া বাতাস ছাড়ে । ধূমপান না করেও ধূমপানের সকল রোগ
জীবাণু নিজেদের মধ্যে নিয়ে নিচ্ছে।
কিভাবে নিচ্ছে জানতে চান? আপনি মনে করেন কোন খোলাস্থানে বসে আছেন,
আপনার পাশে বসে আছে একজন স্মোকার। সে সিগারেট খাচ্ছে এবং ধোঁয়া বাতাসে
ছাড়ছে, সে ধোয়া আপনার নাক,মুখ দিয়ে ভিতরে ডুকছে। তাহলে আপনি ধূমপান
করলে যে সকল রোগ জীবাণু শরীরের ভিতরে যায়,আপনি ধূমপান না করেও আপনার ভিতরে
সেই রোগ জীবাণু শরীরের প্রবেশ করতেছে করে।
টয়লেটে বদ্ধ পরিবেশে সিগারেট খাওয়ার ঝুকি
টয়লেট সাধারণত ছোট এবং বদ্ধ জায়গা। সেখানে পর্যাপ্ত বাতাস বা অক্সিজেন চলাচল
করতে পারে না। ফলে আপনি সিগারেট ধরালে সিগারেটের ধোঁয়া বাহিরে বের হতে না
পেরে বারবার আপনার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে এতে আপনার
সেকেন্ডারি স্মকিং বা পুনরায়
ধোঁয়া শ্বাস নেয়া হয়,যা ফুস্ফুসের ক্ষতি কয়েকগুন বাড়িয়ে দেই।
টয়লেটের মত বদ্ধ জায়গাই সিগারেট খেলে ধোঁয়া সেখানেই আটকে থাকে এবং দরজা
,দেয়াল বা বায়ুচলাচল বাবস্থার মাধ্যমে অন্যান্য ঘরেও ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে
পরিবারের অন্য সদস্যরাও বিশেষ করে শিশুরা পরোক্ষভাবে ধোঁয়ার শিখার হয় এবং
স্বাস্থ্যঝুকিতে পড়ে।
শরীরের উপর ধূমপানের প্রভাব
টয়লেটে বসে ধূমপান করলে শরীরের উপর যেসব প্রভাব পরে, চলুন তা জেনে নেয়া যাক-
-
ফুস্ফুসের ক্ষতিঃ ঘন ধোঁয়া ফুস্ফুসে জমে কান্সার, ব্রংকাইটিস এবং
অ্যাজমার ঝুঁকি বড়াই।
-
হৃদরোগের আশংকাঃ ধূমপান ত এমনিতেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াই , বদ্ধ জায়গায়
ধূমপানের ফলে কার্বন মনোঅক্সসাইডের মাত্রা বেড়ে যাই এতে রক্তনালি বন্ধ
হয়ে হার্টঅ্যাট্রাক হতে পারে।
-
মাথাঘোরা ও ক্লান্তিঃটয়লেটের ভিতরে ধোঁয়া জমে থাকার কারনে অক্সিজেনের
ঘাটতি হয়। এতে মাথা ঘোরা,অস্বস্তি এমনকি হঠাৎ অজ্ঞান বা স্ট্রোক করার মত
ঘটনাও ঘটতে পারে।
-
পেটফাঁপা ও বদহজমঃ টয়লেটে বসার সময় শরীরের ভিতরের চাপের কারনে ধূমপানের
ক্ষতিকর প্রভাব সরাসরি পাক্সথলিতে পোঁছায় ,এতে করে খাবার হজম হয় না
পেটফেঁপে থাকে।
ধূমপানে স্বাস্থ্য ক্ষতি
শুধু ধূমপানের কারণে আয়ুস্কাল কমে যায় ১০- ২০ বছর। বিশ্বের যত লোক মারা যায়
তার দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান। প্রতিবছর ৫৮ লাখের বেশি মানুষ মারা
যায় ধূমপানের কারণে, প্রতি ১০ জনের ১ জন। ২০৩০ সাল নাগাদ এর অবস্থা
দাঁড়াবে ৬ জনের মধ্যে ১ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর ১
কোটি লোক ধূমপানের কারণে অসুস্থ হয়। ধারণা করা হচ্ছে ধূমপানের কারণে বিংশ
শতাব্দীতে যা পরিমাণ মারা গেছে ,একবিংশ শতাব্দীতে তার দশ গুণ মারা
যাবে।
আপনি কি জানেন, সিগারেটের একটা টানে তিন হাজারের অধিক রকম রাসায়নিক পদার্থ
ঢুকে যায় ধূমপায়ীর শরীরে। এর মধ্যে প্রধান হলো নিকোটিন। এই নিকোটিনই ধূমপান
ছাড়তে দেয় না। এমন কোন রোগ নেই যার কারণে ধূমপান নেই । তবে ধূমপানের কারণে
সবচেয়ে ভয়াবহ রোগটি হলো ক্যান্সার। সিগারেট-বিড়িতে ৬৫ রকমের বেশি
ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ থাকে, গবেষণায় দেখা গেছে ৩৩ ভাগ আনসারের কারণ
ধূমপান। ধূমপানের ফলে সবচেয়ে বেশি হয় ফুসফুসে ক্যান্সার।
প্রতিবছর ১৩ লাখ লোক মারা যায় ফুসফুস ক্যান্সা। বাংলাদেশের মোট
ক্যান্সার রোগীর ২৫ ভাগ। ক্যান্সারে শতকরা ৯০ ভাগ কারণ ধূমপান।এ কারণে
হতে পারে মুখ,গলা, গলবিল, খাদ্যনালী, অগ্নাশয়, পাকস্থলী , যকৃত , মূত্রথলি ,
বৃহদান্ত , ও মলাশয় স্তন ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার।
গবেষণায় দেখা গেছে,অধুমপায়ীদের চেয়ে ধুমপায়ীদের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার
সম্ভাবনা ১০ গুণ এবং মুখ ও গলা অন্ননালী, অগ্নাশয, কিডনী ,
মূত্রথলী , জরায়ু মুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কয়েক গুণ বেশি।
এছাড়াও ধূমপান করলে রক্তে মোট কোলেস্টেরল ও খারাপ কোলেস্টেরল (এল ডি
এল) এর মাত্রা বেড়ে যায় এবং কমে যায় ভালো কোলেস্ট্ররেল (এইচডিএল) এর
মাত্রা। এতে করে রক্তনালীতে চর্বি জমে গিয়ে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক ,
স্ট্রোক , মায়োকার্ডিয়াল ইনর্ফাকশন,পায়ে গ্যাংগ্রিন।
গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপাইদের ৪০ বছর পর হার্ট অ্যাটাকে সম্ভাবনা ৫গুণ
বাড়ে। হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা অধূমপায়ীদের চেয়ে দ্বিগুণ। ধূমপানের
কারণে হতে পারে সিওপিডি-এমফাইসেমা , ক্রোনিক এবং ব্রংকাইতিস। শ্বাসনালীর
ইনফেকশনও বাড়াতে পারে।
ধূমপানের ফলে মায়ের পেটে শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গর্ভবস্থায় ধূমপান করলে
Abortion হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বাচ্চার ওজন কম হতে পারে , আক্রান্ত হতে
পারে অ্যাজমাই , গবেষণায় দেখা গেছে শুধু মা-বাবা ধূমপানের আমেরিকায় ২-৩ লাখ
শিশু শ্বাসনালির প্রদাহে আক্রান্ত হয়ে১৫০০০ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এছাড়াও কোনো কারণ ছাড়া মারা যেতে পারে শিশু। আপনি হয়তো বা ধূমপান করেন না
, ভাবতে পারেন আপনি এই স্বাস্থ্য সমস্যা মুক্ত। আপনার আশেপাশে ধূমপায়ীদের
ধোঁয়া আপনার ক্ষতি করে চলেছে আপনার অগোচরে। একে বলে সেকেন্ড হ্যান্ড
স্মোকিং।
গবেষণায় দেখা গেছে ফুসফুসের ক্যান্সারের ১০ ভাগ রোগী ধূমপান করেননি।
এর আক্রান্ত হয়েছেন সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং থেকে। এছাড়াও এদের ক্ষেত্রে
ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০- ৩০ ভাগের হৃদ্রগের ঝুকি ২০- ৩০ ভাগ । তাই আপনার
আশেপাশে ধূমপাই হতে সাবধান হোন।
পরিবারের অন্যদের জন্য ক্ষতিকর
অনেকেই মনে করেন যে টয়লেটে বসে সিগারেট খেলে পরিবারের কেউ টের পাবে না।
কিন্তু টয়লেট থেকে ধোঁয়ার গন্ধ ঘরের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পরে। এতে করে
শিশুরা ও ধূমপান না করা অন্যরা
প্যাঁসিভ স্মকিং এর শিকার হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্যাঁসিভ স্মোকিং শিশুদের নিউমোনিয়া,অ্যাজমা এবং
শ্বাসকষ্টের বড় কারন।
পরোক্ষ ধোঁয়া (secondhand smoke)শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে নয়, "তৃতীয়
হাতের ধোঁয়া (thirdhand smoke) হিসেবেও পোশাক ও আসবাবপত্রে দীর্ঘ সময় ধরে
থাকে,যা স্বাস্থ্যঝুকি বাড়ায়।পরোক্ষ ধূমপান ফুস্ফুসের কান্সারের ঝুঁকি ২০-৩০%
পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
একজন ধূমপায়ী কাছে তার স্ত্রী , সন্তান , ভাই , বোন পরিবারের কেউ নিরাপদ নয়
। পরিবারের কেউ ধূমপান করলে তার প্রভাব সবার উপর পড়ে। নিজের ও পরোক্ষ
ধূমপানের পরিবারের সদস্যদের প্রাণঘাতী রোগে হৃদরোগ, স্ট্রোক , ক্যান্সার ,
অ্যাজমা ইত্যাদি আক্রান্ত হবার ঝুঁকি দেখা দেয় ,এতে পরিবারের সদস্যদের অকাল
মৃত্যু এবং শিশু-কিশোরদের নেশাগ্রস্ত হবার ঝুঁকি বাড়ে। পরোক্ষ ধূমপানের
কারণে পৃথিবীতে ১২ লক্ষ এবং বাংলাদেশে প্রায় ২৬ হাজার শিশু মারা যায়। তাহলে
ভাবুন তো আপনি আপনার পরিবারের আপনি কত ক্ষতি করছেন??
মানসিক প্রভাব
ধূমপান একটি নেশা।তারপরও আবার টয়লেটে বসে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস মানুষকে
ধীরেধীরে মানুষিক চাপ ও নির্ভরশীলতার দিকে ধাবিত । অনেকেই মনে করে যে,টয়লেটে
বসে সিগারেট খেলে যত মানসিক চাপ, যন্ত্রনা , দুঃখকষ্ট দূর হয়ে যাই। মানসিক
চাপ, যন্ত্রনা , দুঃখকষ্ট ভুলতে টয়লেটে বসে মানুষ সিগারেট ধরিয়ে সুখটান দেয়
।আবার অনেকেই আছেন টয়লেটে বসে সিগারেট না খেলে শান্তি পান না।মনে করেন যে,
আপনি একজন স্মোকার তাও আবার
টয়লেট স্মোকার টয়লেটে গিয়ে সিগারেট না খেলে
শান্তি পাচ্ছেন না, শরীরের রক্ত মাথাই উঠতেছে, রাগ হচ্ছে, শরীর ঘামছে। তাহলে
ভাবুন ত ,সামান্য ধোঁয়ার জন্য আপনার এত ব্যাকুলতা আর সেই ধোঁয়া কিভাবে আপনাকে
টেনশন মুক্ত করবে।
খালিপেটে সিগারেট খেলে কি হয়
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই অ্যাডটা সব জায়গায় থাকলেও সবাই এডিয়ে
চলে।অনেকের অভ্যাস আছে খালি পেটে সিগারেট খাওয়া।অনেকেই দিন শুরু করে খালি
পেটে সিগারেট খেয়ে।খালি পেটে সিগারেট খেলে পাকস্থলিতে অতিরিক্ত অ্যাসিড বেড়ে
যাই যা গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের ঝুকি বাড়ায় এবং নিকোটিনের কারনে বমি বমি ভাব
বা পেটের অস্বস্থি হতে পারে,খালিপেটে সিগারেট খেলে রক্তচাপ দ্রুত বৃদ্ধি
পাই,যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
সিগারেট ছাড়তে কতদিন সময় লাগে
সিগারেট ছাড়া একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া এবং এটি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে। তবে গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের অভিমত অনুযায়ী সিগারেট ছাড়ার প্রক্রিয়া সাধারণত তিন থেকে ছয় সপ্তাহ সময় নেয়। তবে আসক্তির মাত্রা এবং শরীরের প্রতি নিকোটিনের অভ্যস্ততা অনুযায়ী এটি আরও দীর্ঘ হতে পারে।
প্রথম কয়েক দিন বিশেষ করে প্রথম 3 থেকে 4 দিন, সিগারেট ছাড়ার পর শরীরের মধ্যে নিকোটিনের অভাব অনুভূত হয় এবং এটি শারীরিক ও মানসিকভাবে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। এই সময়টা অনেকটা সিগারেটের প্রলোভন এবং শরীরের জন্য এক ধরনের শুদ্ধিকরণ সময় হতে পারে। প্রাথমিকভাবে মাথাব্যথা, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং খাওয়ার অনিচ্ছা এর মধ্যে পড়ে।
তবে কয়েক দিন পরই শরীরের থেকে নিকোটিন বের হয়ে যাওয়ার ফলে শারীরিকভাবে অনুভূত অসুস্থতা অনেক কমে যায় এবং কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। সিগারেট ছাড়তে কতদিন সময় লাগে এই প্রশ্নের উত্তর একেবারে নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। সিগারেট ছাড়তে সময়ের নির্ভরতা মানসিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
সিগারেটের প্রতি মানুষের মানসিক আসক্তি অনেক শক্তিশালী হয় এবং একে কাটানো কঠিন হতে পারে। সেক্ষেত্রে সিগারেট ছাড়তে সাধারণত 2 থেকে 3 মাস সময় লাগে। তবে এই সময়ের মধ্যে আরও কিছু কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে। যেমন নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (চুইংগাম, প্যাচ) বা মনোবৈজ্ঞানিক সহায়তা, যা প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
অন্যদিকে কিছু মানুষ সিগারেট ছাড়ার পর পরবর্তী কয়েক মাসও ধূমপান করতে চাইতে পারে। যা একটি চ্যালেঞ্জিং সময় হয়ে দাঁড়ায়। তবে সঠিক মনোবল এবং সমর্থন নিয়ে সিগারেট ছাড়ার প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব। অতএব সিগারেট ছাড়তে কতদিন সময় লাগবে তা পুরোপুরি নির্ভর করে আপনার শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতির উপর। তবে সবশেষে সিগারেট ছাড়া এক শারীরিক ও মানসিক উন্নতির পথ।
টয়লেটে ধূমপান বন্ধ করার উপায়
-
নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ব্যবহার করুনঃযেমন নিকোটিন চুইংগাম বা প্যাচ
ব্যবহার করতে পারেন।
-
অভ্যাস পরিবর্তন করুনঃ টয়লেটে বসার সময় মোবাইল স্ক্রলিং, বই পড়া বা
অন্য কিছু করার অভ্যাস গড়ে তুলুন
-
পরিবারের সমর্থন নিনঃ ধূমপান ছাড়তে পরিবারের কাউকে জানিয়ে সহায়তা
নিন।
লেখকের মন্তব্যঃটয়লেটে বসে সিগারেট খেলে কি হয়
টয়লেটে বসে সিগারেট খাওয়া অনেকের কাছে আরামের বা গোপনীয়তার মাধ্যম মনে
হলেও এর ক্ষতি ভয়াবহ। ফুসফুস, হৃদপিণ্ড, হজমতন্ত্র, এমনকি পরিবারের অন্যদের
স্বাস্থ্যের ওপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাই এই অভ্যাস আজই ত্যাগ করা জরুরি।
মনে রাখবেন, ধূমপান এমনিতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর, আর বদ্ধ জায়গায় ধূমপান করলে
তা দ্বিগুণ ক্ষতি ডেকে আনে।
আপনার স্বাস্থ্য, পরিবারের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য টয়লেটে বসে ধূমপান
এড়িয়ে চলুন।
এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
লাইফ স্টাইল
ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url