নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন-দেখুন ১৭টি টিপস

 নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে এই পোস্টে নিমপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনাদের উপকারে আসবে এবং ভালো লাগবে।

নিম-পাতার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

আমরা জানি না কোন গাছের কোন ওষুধে গুণ রয়েছে। নিম গাছ একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন ঔষধি গাছ। আমাদের বাড়ির আশেপাশে অবহেলায় বেড়ে বেড়ে ওঠা নিম গাছ অনেক উপকারী। চলুন তাহলে নিমগাছে উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা 

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা 

অতি পরিচিত নিম গাছ ওষুধে গুণে ভরপুর। প্রাচীনকাল থেকেই নিম গাছ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম গাছের ছাল,পাতা,ফল প্রতিটি অংশই উপকারী। তবে নেমে গাছ নিম পাতার উপকারিতা বেশি। নিম পাতা ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে । নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক, আন্টি ইনফ্লামেটরি গুণাবলী যা মানুষের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ রোগী নিরাময়ের সহায়ক।

নিম পাতার বৈজ্ঞানিক নাম Azadirachta indika. এটি ভেষজ চিকিৎসায় প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। নিয়মিত নিমপাতা ব্যবহারে ত্বক, চুল, পেট, লিভার এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাহলে আর দেরি না করে নিম পাতার উপকারিতা আলোচনা করা হোক।

চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

  • খুশকিঃ নিমপাতা এন্টিফাঙ্গাল গুণসম্পন্ন হওয়ায় স্কেল্পের সকল সমস্যা দূর করে। মাথায় খুশকি দূর করে, মাথায় যদি উকুন থাকে আর নিয়মিত নিমপাতা বেটে রস করে মাথায় লাগালে উকুন পালাবে।
  • চুল পড়াঃ নিমপাতা ব্যবহারে চুল পড়া কমে। মাথায় মৃত কোষ রিমুভ করে এবং নতুন কোষ সৃষ্টি করে। এতে চুল পড়া কমে এবং চুল লম্বা হয়।
  • কন্ডিশনিংঃ নিয়মিত নিমপাতা বেটে রস করে মাথায় লাগালে চুল সিল্কি হয় এবং চুল নরম ও মৃসন হয়।

ত্বকের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

  • মুখের ব্রণ ফুসকুড়ি কমায় নিম পাতার ব্যবহারে। নিম পাতা রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণসম্পন্ন যা ব্রনের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। লোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূর করে নিম পাতার ব্যবহারে। তাছাড়া লোমকূপ বন্ধ হওয়ার থেকে রক্ষা করে নিম পাতা। নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহারে ব্রণের দাগও রিমুভ হয়। 
  • মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে নিমপাতা। নিমপাতা ব্যবহারে মুখের মৃত কোষ দূর করে নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। এটি মুখের কালো দাগ এবং অসমতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • নিম পাতা এলার্জি বা চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। ত্বকের লালচে দাগ চুলকানি এলার্জির সমস্যা কমায়। নিয়মিত নিম পাতা পেস্ট বা নিম সেদ্ধ করে পানি দিয়ে মুখ ধুলে এলার্জি বা চুলকানি উপশম হয়। আবার নিমপাতা বা নিম ফল বেটে মধুর সাথে মিশিয়ে মাক্স হিসেবে ব্যবহার করুন।
  • লোমকূপ পরিষ্কার রাখে- লোমকূপ এ জমে থাকা ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করে নিম পাতা ব্যবহারে। লোমকূপ বন্ধ  হওয়া প্রতিরোধ করে।

সংক্রমক প্রতিরোধ

  • নিমপাতা ব্যবহার করে জীবাণু ধ্বংস করা যায়। কাঁটা ছেঁড়া স্থানে নিমপাতা বেটে লাগালে কাঁটা স্থানের জীবাণু ধ্বংস হয়।।
  • গলায় খুসখুস কাশি হলে নিমপাতা সেদ্ধ করে সেই রস পান করলে গলা শীতল রাখে এবং সর্দি কাশি সংক্রমক ঝুঁকি কমায়।
  • নিমপাতা সেদ্ধ পানি পান করলে মূত্রনালীর জ্বালাপোড়া কমে। 
  • সংক্রমক এলাকায় প্রয়োগ করলে প্রদাহক্রমে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। 

নিম পাতা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

  • নিম পাতার ও প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য একটি প্রাকৃতিক আশীর্বাদ স্বরূপ। নিম পাতা প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক ঔষধি গুণী হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম পাতার ভিতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শরীরকে ভিতর থেকে জীবাণু ধ্বংস করে এবং শক্তিশালী করে তোলে। 
  • এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে, বিভিন্ন সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। নিয়মিত নিমের পাতা খাওয়া, নিম চা বানানো এবং নিমের তেল ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক সমস্যা থেকে দূরে থাকুন। এগুলো খেলে আপনার শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই থেকে তিনটা নিমের কচি পাতা নিয়ে চিবিয়ে খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে আপনার দিনের শুরু হবে শক্তিশালী আইটেম দিয়ে এবং শরীরকে সুরক্ষা করে।
  • নিমের পাতা গুড়া শুকিয়ে গুড়া করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে পান করলে আপনার শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়।
  • নিমের তেল ব্যবহার করলে মুখের ব্রণের দাগ অসমতা দূর হয়। মাথায় নিমের তেল ব্যবহারে খুশকি চুল পড়া ইত্যাদি কমে যায়। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে।

চর্ম রোগ প্রতিরোধ করে

নিম-পাতার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

আপনার ত্বকের সমস্যার জন্য নিম পাতা হতে পারে কার্যকরী সমাধান। নিম পাতায় থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল ত্বকের যাবতীয় সমস্যা যেমন ব্রণ ফুসকুড়ি দাদ চুলকানি এলার্জি প্রতিরোধ করে। নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহারে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে। নিয়মিত নিম পাতার রস বা নিমপাতার তেল ব্যবহারে ব্রণের দাগ অসমতা দূর হয়। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ সৃষ্টি করে। ত্বককে নরম ও মৃসন করে।

 মুখের স্বাস্থ্য ও ডেন্টাল কেয়ার

নিম পাতা মুখের জীবাণু ধ্বংস করে এবং মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। নিজের পাতায় এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকায় দাঁতের মাড়ি ব্যথা, দাঁত ব্যথা কমায়। নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করলে দাঁতের জীবাণু ধ্বংস হয়, দাঁত পরিষ্কার হয় এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। এর ফলে দাঁতের ক্যাভিটি দূর হয় এবং দাঁত ক্ষয় রোধ করে।

নিমপাতা ডায়াবেটিস দূর করে

নিম পাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম পাতা দেহের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে নিম পাতা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে এবং রক্তে গ্লকোজের মাত্রা কমায়। নিয়মিত নিমের রস বা নিমের গুড়া সেবন করলে অগ্নাশয়ে বিটা কোষ গুলো পুনর্জীবিত হয় এবং পুরনো কোষগুলোকে মেরামত করে। 

আরো পড়ুনঃ বাসক পাতা উপকারিতা ও অপকারিতা

নিমপাতা এলার্জি দূর করে

নিম পাতা এলার্জি জন্য প্রাকৃতিক মহা ঔষধ। প্রতিদিন কয়েকটা নিম পাতা নিয়ে গোসলের পনির মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে গোসল করলে শরীরের বিভিন্ন এলার্জির সমস্যা দূর হয়। নিমপাতায় থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এছাড়াও আপনি কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা পেটে পুরো শরীরে লাগালে এলার্জি থেকে বা চর্মরোগ থেকে বেহায় পাওয়া যায়।

লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে নিমপাতা

লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিমপাতা এক মহা  ঔষধে উদ্ভিদ। এটি লিভারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিমপাতা শরীরের রক্ত পরিশোধনের মাধ্যমে লিভারকে সুস্থ রাখে। এই গাছের ফ্রি রেডিক্যাল নিরপেক্ষ ও রাসায়নিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এটি লিভারের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং কার্যকারিতা শক্তিশালী করে।

নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্যারোটিনয়েড আছে। যা লিভারকে শক্তিশালী করে। লিভারে থাকা কো এনজাইমের মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। এটি রক্তের মাধ্যমে শরীরের টক্সিন দূর করে এবং লিভারের কার্যকারিতা শক্তিশালী করে তোলে।

আরো পড়ুনঃখালি পেটে কালিজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

হজমের সহায়তা করে

নিম পাতার রস আমাদের খাদ্য হজমের সহায়তা করে। তাছাড়া বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশি উপকারী এই নিমপাতা। নিম পাতার তেতো ভাব পাকস্থলী পরিষ্কার করে এবং পাকস্থলীতে থাকা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এছাড়াও কৃমি দূর করতে নিম পাতার জুড়ি মেলা ভার। প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস বা নিম পাতার গুঁড়ো পানির সাথে মিশিয়ে পান করলে পাকস্থলী পরিষ্কার করে ও সুরক্ষিত করে হজমের সাহায্য করে।

নিম পাতার অপকারিতা

নিম-পাতার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

 নিম পাতা অনেক রোগের মহা ঔষধি হলেও অতিরিক্ত ব্যবহারে এর অপকারিতা রয়েছে। কথায় আছে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না, তেমনি নিম পাতাও বেশি ব্যবহারে আপনার শরীরে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই নিমপাতা অতিরিক্ত সেবন থেকে দূরে থাকুন।

গর্ভবতী নারীদের জন্য ক্ষতিকর

নিমপাতা গর্ভবতী নারীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ নিম পাতা অনেক সময় গর্ভপাতের কারণ হয়। তাই গর্ভধারণের সময় নিমপাতা এড়িয়ে চলাই ভাল। আর যদি আপনি নিম পাতা খেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন।

শিশুদের জন্য ক্ষতিকর

নিমপাতা প্রাকৃতিক হলেও এটি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। কারণ শিশুদের শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পূর্ণ বিকশিত হয় না, ফলে নিম পাতায় থাকা শক্তিশালী অ্যালকালয়েড ও অন্যান্য সক্রিয় যোগ্য শিশুদের শরীরে বিপর্যয় ঘটাতে পারে। নিম পাতার সেবনে শিশুদের শরীরে এলার্জি, লালচে ভাব চুলকানি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নবজাতক ও পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের নিম পাতা খাওয়ানোর থেকে বিরত থাকুন।

হজমের সমস্যা করে 

নিম পাতার এত স্বাদ অনেকের জন্য সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত নিমপাতা সেবনের ফলে বমি বমি ভাব, গ্যাস্টিক, বদহজম পেটের অস্বস্তি করার মত সমস্যা হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিমপাতা সেবনের ফলে ডায়রিয়া হতে পারে। তাই অতিরিক্ত নিমপাতা সেবন থেকে দূরে থাকুন।

রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে

নিম পাতার মধ্যে নানান উপাদান আপনার রক্ত চাপ কমিয়ে দিতে পারে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের ক্ষেত্রে নিম পাতা উপকারী হলেও যাদের রক্তচাপ কম তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির কারণ হতে পারে। যাদের রক্তচাপ কম আছে তারা নিয়মিত নিম পাতা খেলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। তাই নিম পাতা সেবনের পূর্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক মাত্রায় নিম পাতা ব্যবহার করুন।

কিডনির সমস্যা হতে পারে

দীর্ঘমেয়াদি অতিরিক্ত নিমপাতা ব্যবহারে কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। নিমপাতা আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন দূর করে এটি উপকারিতা হলেও নিয়মিত অতিরিক্ত ব্যবহার করে কিডনি দুর্বল হয়ে যেতে পারে যা আমাদের শরীরকে দুর্বল করে দেয়। অতিরিক্ত নিম পাতা সেবনের ফলে কিডনি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিষাক্ত টক্সিন গুলো শরীরের ভিতরে জমে থাকে, যা আমাদের পরবর্তীতে নানা রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।

শেষ কথাঃনিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিমপাতা ভু বহু উপকারী একটি ভেষজ উদ্ভিদ। যা আমাদের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ সকল রোগের নিরাময় হিসেবে কাজ করে। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। কথায় আছে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। তাই পরিমাণ মতো সবকিছু ব্যবহার করি আর সুস্থ থাকি।

আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করবেন। আপনাদের বক্তব্য আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url