৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৫ ব্রান্ডের ফ্রিজ
৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৫ ব্রান্ডের ফ্রিজ খুঁজছেন?? আজকে এই পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে যে ৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৫ ব্যান্ডের ফ্রিজ এবং কোন ফ্রিজের কত দাম। তাহলে পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন এবং আপনার পছন্দের ফ্রিজটি ক্রয় করুন।
বর্তমানে বাজারে এই দামে অনেক ফ্রিজ পাওয়া যাবে। কিন্তু এই দামে
কোন মডেল ভালো হবে তা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আশা করি পোস্টটি পড়ে
আপনার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেরি না করে ৩০০০০ টাকার মধ্যে ফ্রিজ নিয়ে আলোচনা
করা যাক।
পোস্ট সুচিপত্রঃ ৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৫ ব্রান্ডের ফ্রিজ
- ৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৫ ব্রান্ডের ফ্রিজ
- ৩০০০০ মধ্যে ওয়ালটন ফ্রিজ
- ৩০০০০ টাকার মধ্যে যমুনা ফ্রিজ
- ৩০০০০ টাকার মধ্যে ইকো প্লাস ফ্রিজ
- ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ভিশন ফ্রিজ
- ত্রিশ হাজারের মধ্যে মাই ওয়ান ফ্রিজ
- ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফ্রিজ
- শেষ কথাঃ৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৫ ব্রান্ডের ফ্রিজ
৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৫ ব্রান্ডের ফ্রিজ
ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফ্রিজ অনেকেই জানতে চান যে এই দামে কোন ফ্রিজ ভালো হবে এবং কোন মডেল নিলে আপনার ঘরের শোভা বৃদ্ধি পাবে। তাই আজকের আর্টিকেল জুড়ে ৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা সেরা ৫ ব্যান্ডের ফ্রিজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাসা বাড়িতে ফ্রিজ ব্যবহার এখন সাধারণ বিষয়। শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ফ্রিজের ব্যবহার বাড়ছে। গত দেড় দশকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে দেশীয় উৎপাদিত ফ্রিজ।
এ পরিমাণ বিক্রি হয় তার অধিকাংশ দেশে উৎপাদিত। রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে দেশে বর্তমানে 90% ফ্রিজ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যুরো ২০২৩ এর একটা অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে দেশে মোট পরিবারের সংখ্যা চার কোটি ১০ লাখ তার মধ্যে ৫৩.৪ শতাংশ বাড়িতে একটি করে ফ্রিজ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এমন অনেক ফ্রিজ আছে যেগুলো দেশীয় পণ্য কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের শীর্ষ স্থানীয় পর্যায়ে জায়গা করে নিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে সেরা ৫ ব্র্যান্ডের ফ্রিজগুলো হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ, যমুনা ফ্রিজ, ইকো প্লাস ফ্রিজ, ভিশন ফ্রিজ এবং মাই ওয়ান ফ্রিজ। আমার কাছে এই ফ্রিজ গুলো সেরা হলেও আরো অনেক ফ্রিজ আছে সেগুলো অনেক ভালো সার্ভিস দেয়। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করব ৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৫ ব্র্যান্ডের ফ্রিজ এবং আরো ফ্রিজের দাম ও মডেল সম্পর্কে। আগে বলে রাখা ভালো যে এখানে আমরা দেশীয় ব্রান্ডের ফ্রিজ নিয়ে আলোচনা করব।
আরো পড়ুন ঃরেডমি 5 হাজার টাকার ফোন খুঁজেন আপনার সেরাটা
৩০০০০ মধ্যে ওয়ালটন ফ্রিজ
ওয়ালটন ফ্রিজ বিএসটিআই সনদপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফাইভ স্টার এনার্জি
রেটিং প্রাপ্ত ফ্রিজ। এর কম্প্রেসারে ব্যবহৃত হয়েছে R600A রেফ্রিজারেটর। যা
একই সাথে পরিবেশ বান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এর হোয়াইট ভোল্টেজ ডিজাইন বিদ্যুতের
ভোল্টেজের উঠানামার কারণে যেকোনো প্রতি গোল পরিবেশ থেকে রক্ষা করে। ওয়ালটন
ফ্রিজের যুক্ত করা হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। রয়েছে স্মার্ট
কনট্রোলযুক্ত ডিসপ্লে ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজে walton ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা
যায়।
এটাতে সিলভার ক্লিন প্লাস প্লাস ন্যানো হেলথ কেয়ার প্রযুক্তি এবং থ্রালেন্ট ফ্রিজ ডোর ব্যবহার করায় ফ্রিজের ভিতরে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত। এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। আবার কম্প্রেসার এর মেয়াদ ১২ বছর। পাশাপাশি পাঁচ বছর ফ্রি বিক্রয়ত্ব সেবা রয়েছে। বাংলাদেশের ওয়ালটনের ১৩২ লিটার ফ্রিজের দাম সাধারণত ২৩ হাজার টাকা থেকে শুরু।
| মডেল | লিটার | সিফটি | দাম |
|---|---|---|---|
| 1B6-GDEX | ১৩২ | ৮ | ২৩০০০ |
| 1B4-GDEX | ১৫৭ | ৯ | ২৫০০০ |
| 2A3-GDEL | ১৭৬ | ১০ | ২৬০০০ |
| 2D3-GDEX | ১৮০ | ১৩ | ২৯০০০ |
| 2D3-GDEL | ২১৯ | ১৭ | ৩২০০০ |
৩০০০০ টাকার মধ্যে যমুনা ফ্রিজ
গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান
যমুনা ইলেকট্রনিক্স সাশ্রয়ী মূল্যে দেশ সেরা যমুনা ফ্রিজ উৎপাদন করেছে। দেশের
মানুষের কাছে যমুনা ফ্রিজ পছন্দের শীর্ষে। কারণ যমুনা সাশ্রয়ীর মূল্য,
দীর্ঘ স্থায়ী, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন। উন্নত কম্প্রেসার
ওয়ারেন্টি বিকৃত সেবা ও অত্যাধুনিক সরবরাহ করেছে। যমুনা ফ্রিজ গুলো R600A গ্যাস
ব্যবহৃত হয় পরিবেশ বান্ধব
মানবদেশের ক্ষতি করে না ফুড গ্রেডেড ব্যবহারের ফলে খাবারে প্লাস্টিকের গন্ধ ছড়ায় না এই ফ্রিজটির সর্বোচ্চ 70% বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এই ফ্রিজটির কম্প্রেসার ওয়ারেন্টি ১০ বছর। ৫ বছরের সেবা এবং পাঁচ বছরের পার্টস ওয়ারেন্টি দিচ্ছে যমুনা ফ্রিজ বাংলাদেশের যমুনা ফ্রিজ ১৪৮ লিটার ফ্রিজের দাম সাধারণত ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু।
আরো পড়ুনঃ ওয়ালটন ফ্রিজের ১২ সেফটির দাম ২০২৫
৩০০০০ টাকার মধ্যে ইকো প্লাস ফ্রিজ
হাউস অফ বাটারফ্লাই নিজস্ব ব্র্যান্ড ইকো প্লাস ফ্রিজটি ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই ফ্রিজ জনপ্রিয় হওয়ার কারণ এর কার্যকারিতা, সাশ্রয় মূল্য, এবং বিশাল পণ্য সমারহ। পূরণের ব্যাপক পরিসর আউটলুক ও আধুনিক ফিচার সহ ইকো প্লাস এয়ার ফ্লো সিস্টেম ফ্রিজের ভিতরে ঠান্ডা বাতাস সমানভাবে প্রবাহ করে। গ্রোজ ভলিয়ম
এতে খাবার দীর্ঘক্ষন ফ্রেশ থাকে এবং খাবার সতেজ থাকে। এর width ভোল্টেজ রেঞ্জ ভোল্টেজের উঠানামা ভারসাম্য মান ধরে রেখে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতিরোধ করে। ইকো প্লাস ফ্রিজ সম্পূর্ণ নিরাপদ। এছাড়াও ইকো প্লাস ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়েছে এনার্জি সেভিং সিএফসি গ্যাস ওজোন স্তরের ভারসাম্য ধরে রাখতে এবং পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে পারে। এর সার্চ প্রটেকশন প্রযুক্তি ফ্রিজ বৃষ্টির দিনে বজ্রপাতের সময় ভোল্টেজে পরিবর্তন থেকে রক্ষা করে।
৩০ হাজার টাকার মধ্যে ভিশন ফ্রিজ
ভিশন ফ্রিজ প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের একটি পণ্য। আধুনিক ডিজাইন , দৃষ্টিনন্দন রং এবং অত্যাধুনিক ফিচারে তৈরি হয় এই ফ্রিজ। বাসার যেখানে রাখা হয় সেখানকার সৌন্দর্য বেড়ে যায়। দ্রুত ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১০০% কপার কনডেন্সার ফিচার। খাবার রাখার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা করে ফেলে। ৭৫ মিলিমিটার ফ্লোমিং থিকনেস ফিচারটির কল্যানে লোডশেডিং হলেও ফ্রিজের ভিতরে ঠান্ডা থাকবে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত।
ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজি ফিচারের কল্যাণে ভিশন ফ্রিজে কুলিং সিস্টেম এবং ২০% এক্সট্রা ক্যাপাসিটি সম্পন্ন কম্প্রেসর। এছাড়াও ভিশন ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ। বাংলাদেশের ভীষণ ফ্রিজ 180 লিটার ফ্রিজের দাম সাধারণত ২৩ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়।
ভিশন মডেল ১৪২
ইনপুট পাওয়ারঃ৬৫-৭০ ওয়েট
উইডার ভোল্টেজ রেঞ্জঃ১৬০-১২০
নেট ভলিউমঃ১৪২ লিটার
গ্রোজ ভলিয়মঃ১৪৮লিটার
প্রাইজঃ ২৪ হাজার টাকা মাত্র
ভিশন মডেল ১৫০
ইনপুট পাওয়ারঃ৭০-৭৫ ওয়েট ওয়েট
উইদার ভোল্টেজ রেঞ্জঃ১৬০-২৬০
নেট ভলিউমঃ ১৫০ লিটার
গ্রোস ভলিউমঃ ১৭৫ লিটার
প্রাইজঃ২৫২০০ টাকা মাত্র
ভিশন মডেল ২০০
ইনপুট পাওয়ারঃ ৮৩-৮৮
উইডার ভোল্টেজ রেঞ্জঃ২৬০-২৬৫
নেট ভলিউমঃ২০০ লিটার
গ্রোস ভলিউমঃ২০৬ লিটার
প্রাইজঃ ৩২০৪০ টাকা মাত্র
ভিশন মডেল ২১৭
ইনপুট পাওয়ারঃ ৮০-৮৫
উইডার ভোল্টেজ রেঞ্জঃ১৬০-২৬০ ১৬০
নেট ভলিউমঃ২১৭ লিটার
গ্রোস ভলিউমঃ২২৫ লিটার
প্রাইসঃ৩২০৮০ টাকা মাত্র
মনে রাখবেন এই মডেল গুলো অফার প্রাইজে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মডেলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দামের পার্থক্য হতে পারে।
ত্রিশ হাজারের মধ্যে মাই ওয়ান ফ্রিজ
মিনিস্টার মাই ওয়ান গ্রুপের একটি পণ্য। শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালে। ৫ জন কর্মচারী
নিয়ে সাদা কালো টেলিভিশনে মিনিস্টার বাজারে যাত্রা শুরু করে। বর্তমান মাই ওয়ান
এর অধীনে রয়েছে ২০টি বেশি পণ্য। তার মধ্যে মাই ওয়ান ফ্রিজ উল্লেখযোগ্য।
মাই ওয়ান ফ্রিজের যাত্রা শুরু হয় আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত মানের পণ্য তৈরি
করার উদ্দেশ্যে।
মাই ওয়ান ফ্রিজ ব্যবহার করা হয় ডিজিটাল ইনভারটার কম্প্রেসার এবং দীর্ঘস্থায়ী। নো ফ্রস প্রযুক্তি ফ্রিজের ভিতরে বরফ জমা বন্ধ করে। এবং খাবার অনেক সময় ধরে ফ্রেশ থাকে। এছাড়াও মাল্টি এয়ার ফ্ল ফ্রিজের ভিতরে সব জায়গায় সমানভাবে বাতাস সরবরাহ নিশ্চিত করে। যা খাবারের প্রতিটি অংশকে সঠিক তাপমাত্রায় রাখে। মাই ওয়ান ১৭৬ লিটার দাম ২২ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়।
আরো পড়ুনঃ কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো তা জেনে নিন সহজে
৪০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফ্রিজ
৪০০০০ টাকার মধ্যে ভাল ফ্রিজ বলতে অনেক ফ্রিজ গুলোয় চোখে পড়ে। তবে ফ্রিজ
কিনতে গেলে দেখবেন আপনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা কতজন। পরিবারের সদস্য সংখ্যা
দুই থেকে চার জন হলে আপনার মাঝারি সাইজের ফ্রিজে যথেষ্ট। আবার পরিবারের সদস্য
যদি ছয় থেকে আট জন হয় তাহলে আপনাকে বড় ফ্রিজ নিতে হবে। তাই পরিবারের
চাহিদা অনুযায়ী ফ্রিজ কিনে ব্যবহার করুন।
ওয়ালটন মডেল WMFA-2D4
নেট ভলিয়ম-220 লিটার
মূল্য- ৩৪ হাজার টাকা অফার প্রাইজ
ওয়ালপুল ফ্রেস ম্যাজিক প্রো
নেট ভলিউম- ২৭৮ লিটার
মূল্য ৩৯৫০০ টাকা ডিসকাউন্ট প্রাইজে
ভিশন মডেল RE
নেট ভলিয়ম-২২২ লিটার
মূল্য-৩৪ হাজার অফার প্রাইজ
ওয়ালটন মডেল 2BC-GDSH
নেট ভলিউম-২৩৮ লিটার
মূল্য-৩৫৮০০ ডিসকাউন্ট অফারে
স্যামসাং মডেল RB21KMFH5R
নেট ভলিউম-২১৮ লিটার
মূল্য-৩৯৯০০ ডিসকাউন্ট করে নিতে পারবেন
শেষ কথাঃ৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৫ ব্রান্ডের ফ্রিজ
৩০০০০ টাকার মধ্যে সেরা ৫ ব্রান্ডের ফ্রিজ নিয়ে আজকের এই পোস্টটির মূল আলোচনা। এখানে শুধু সেরা ৫ ব্র্যান্ডের ফ্রিজ নিয়ে আলোচনা করা হয়নি হয়েছে মডেল ও দাম নিয়ে। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। তাছাড়া এই পোস্টের ভিতর ৩০ হাজার টাকার কম ও ৩০ হাজার টাকার বেশি ফ্রিজের দাম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পোষ্টটি পড়ে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত ফ্রিজ কিনতে সক্ষম হবেন।

ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url