মরিচের চারা উৎপাদন পদ্ধতি-টবে মরিচ চাষ পদ্ধতি

মরিচের চারা উৎপাদন পদ্ধতি। অনেকেই চান বাড়িতে থাকা মরিচের বিচি দিয়ে বীজ বানাতে। তাই আজকের আর্টিকেলে কিভাবে মরিচের চারা উৎপাদন করতে হয়, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি পোস্টটি পড়ে বাড়িতে থাকা শুকনো মরিচ দিয়ে বীজ তৈরি করতে পারবেন।

মরিচের-চারা-উৎপাদন-পদ্ধতি-টবে-মরিচ-চাষ-পদ্ধতি

ফল ধরা মরিচের গাছ সবার কাছে পছন্দের। যখন গাছে সবুজ, লাল মরিচ ধরে ঝুলে থাকে তখন গাছটিকে অনেক সুন্দর দেখা যায়। মরিচ থেকে মরিচের চারা বাড়ানোর একটি ফলপ্রসূ এবং সাশ্রয়ী প্রচেষ্টা, যা একটি সফল অঙ্কুরোদগম মাধ্যমে শুরু হয়।

পোস্ট সূচীপত্রঃমরিচের চারা উৎপাদন পদ্ধতি-টবে মরিচ চাষ পদ্ধতি

মরিচের চারা উৎপাদন পদ্ধতি-টবে মরিচ চাষ পদ্ধতি

মরিচ বহুল ব্যবহৃত এবং পরিচিত একটি মসলা জাতীয় খাদ্য। আমাদের জিহ্বায় যে ঝাল টেস্ট অনুভূতি হয় আর সেটি ছাড়া তরকারি কল্পনাও করা যায় না আর সেই উপাদান মরিচ কিভাবে বাসায় চাষ করবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলের মধ্যে। মরিচ একটি অর্থকরী ফসল। মরিচ কাঁচা পাকা সব অবস্থায় আমরা ব্যবহার করি। মরিচ সব ঋতুতেই চাষ উপযোগী একটি ফসল। তবে প্রায় ৮৫% মরিচ শীতকালে চাষ করা হয়।

মরিচ আমরা কাঁচা, পাকা এবং শুকনো ব্যবহার করে থাকি। মরিচ ছাড়া আমরা কোন খাবার কল্পনা করতে পারি না। সব খাবারের প্রায় ৮০% খাদ্যে মরিচ ব্যবহার করে থাকি। বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে মরিচ শীর্ষে রয়েছে। আমরা তরকারিতে, ডিম ভাজা, নুডলস, মুড়ি মাখা, ভর্তা, এমনকি মরিচ ভর্তা করে খেয়ে থাকি। তাহলে মরিচ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার্য একটি জিনিস। তাহলে চলুন দেরি না করে মরিচের চারা উৎপাদন পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করি-

মরিচ বীজ থেকে চারা তৈরি

প্রথমে মরিচ বীজ থেকে চারা তৈরি করতে হলে আপনার ৩-৪ টা শুকনো মরিচ লাগবে। মরিচ গুলো যেন পাকা এবং লাল হয়। মরিচ যত পাকা ও লাল হবে মরিচের বীজ তত ভালো হবে। তারপর মরিচগুলো কেটে নিবেন। কাটার সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন, যেন মরিচের বিচি গুলো কেটে না যায়। মরিচের বিচি গুলো বের করার পর পানিতে ৪-৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ৪-৫ ঘন্টা ভেজানোর পর তুলে হালকা একটু শুকিয়ে নিন। এতে বীজের অঙ্কুরোদগম ভালো হবে।

এইবার মাটি প্রস্তুত করার পালা। সব ফসলের ক্ষেত্রে দোআঁশ মাটির সর্বোত্তম। তাই মরিচ গাছের ক্ষেত্রেও দোআঁশ মাটি উত্তম। দোআঁশ মাটির সাথে জৈব সার, ইটের গুড়া এবং নারকেলের ছোবড়া মিশিয়ে মাটিকে হালকা করে নিতে হবে। যাতে চারা অঙ্কুরোদগমে বাধা প্রাপ্ত না হয়। এরপর মাটিতে আধা শুকনো বীজগুলো পুঁতে দিতে হবে। মাটির চার ভাগের এক ভাগ সরিয়ে বীজ পুঁতে দিতে হবে। তারপর পানি দিয়ে মাটি গুলো ভিজে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ আদা চাষের জন্য ১০টি সেরা পদ্ধতি

এইবার মাটি সহ টপটি ঘর বা বারান্দার এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো না পড়ে। তবে পর্যাপ্ত আলো এবং বাতাস পৌঁছতে পারে এইরকম জায়গায় রাখতে হবে। প্রতিদিন সকালে টবটির মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে।৫-৭ দিন পর দেখবেন মাটিতে পুঁতে রাখা বীজগুলো থেকে চারাগাছ বের হয়েছে।২-৩ দিনের মধ্যে চারা গাছগুল ১-২ ইঞ্চি লম্বা হয়ে গেছে।

চারা গাছগুলো যখন ১-২ ইঞ্চি লম্বা হবার পরে সূর্যের আলোতে রাখতে হবে। কারণ সূর্যের আলোতে সালোকসংশ্লেষণ করে চারা গাছটি পর্যাপ্ত খাদ্য তৈরি করে সুস্থ এবং সবল ভাবে বেড়ে উঠতে পারে। সকালে এবং সন্ধ্যায় পানি দিতে হবে। ৭-৮ দিন পর সবল চারাগুলো রেখে দুর্বল ছাড়া গুলো তুলে ফেলবেন। এতে করে চারা গাছ গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা পাবে বেড়ে ওঠার জন্য।

আপনি চাইলে চারা গুলো অন্য টবে বা জমিতে লাগাতে পারেন। টবের চারা গুলো বড় হয়ে গেলে ৪-৫ চারা থেকে ১-২ চারা রেখে সবগুলো ছাড়া উঠিয়ে অন্যত্র লাগাতে পারেন। এবং প্রতিদিন মরিচের গাছগুলো পানি স্প্রে করে ভিজিয়ে দিতে হবে। এক দু মাসের মধ্যে মরিচ গাছে ফুল আসা শুরু করবে। ফুল আসার ১০-১২ দিনের মধ্যে মরিচ ধরা শুরু করবে।

আর এইভাবে খুব সহজে আপনি বাসায় মরিচ বীজ তৈরি করে, মরিচের গাছ লাগিয়ে নিজের পরিবারে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আপনি জমিতে ও বড় পরিসরে মরিচের চাষ করতে পারবেন। এবং বাণিজ্যিকভাবে মরিচের চারা উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

টবে মরিচ চাষ পদ্ধতি

মরিচ ছাড়া আমরা তরকারি রান্না করার কথা কল্পনাও করতে পারি না। শুধু আমাদের দেশে নয় পুরো পৃথিবীতে মরিচ ব্যবহার হয়ে থাকে। অনেকেই বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় তবে মরিচ গাছ লাগানোর প্রবণতা রাখে। বিশেষ করে যারা গাছ প্রেমী তারা টবে বা ছাদে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়ে থাকে। তার মধ্যে মরিচ গাছ অন্যতম। টবে গাছ লাগালে পরিচর্যা করা অনেক সহজ।টবে মরিচ গাছ লাগালে খরচ অনেক কম হয় এবং দ্রুত বেড়ে ওঠে।

আরো পড়ুনঃঅ্যালোভেরা চাষের জন্য মাটির বৈশিষ্ট্য সেরা ১০টি কোশল

টব বলতে সাধারণত আমরা বস্তা, প্লাস্টিকের ড্রাম, টিনের কৌটা অথবা শক্ত পলিব্যাগ বুঝে থাকি। মরিচ চাষ করার ক্ষেত্রে মাঝারি আকারের টব ভালো। মাঝারি আকার টবে গাছের পরিচর্যা এবং গাছের সুস্থতা দুটোই ভালোভাবে হয়। মাঝারি আকারে টবে প্রায় তিন থেকে চারটি চারা লাগানো সম্ভব। টব হিসেবে প্লাস্টিকের ড্রাম, টিনের কৌটা, শক্ত পলিথিনের ব্যাগে ব্যবহার করলে আগে থেকে ছোট ছোট ছিদ্র করে রাখতে হবে। না হলে অতিরিক্ত পানি জমে গাছের গোড়ায় পচন ধরে গাছ মারা যাবে।

মরিচের-চারা-উৎপাদন-পদ্ধতি-টবে-মরিচ-চাষ-পদ্ধতি

টবে মরিচ গাছ লাগালে  দোআঁশ মাটি সর্বোত্তম। দোআঁশ মাটির সাথে জৈব সার মিশিয়ে টবটি মাটি ভর্তি করুন। টবের মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিন , যাতে মাটি ভেজা থাকে। এবার লক্ষ রাখুন মাটি যেন শুখিয়ে না যায়। এবং মাটি ভর্তি টবটি আর্দ্র স্থানে রাখুন। মরিচ বীজ বপনের আগে ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর বীজগুলো টবের মাটিতে ছড়িয়ে দিন। ১০-১৫ দিনের মধ্যে দেখবেন বীজ থেকে অঙ্কুরোদগম হয়ে মরিচ গাছ বের হয়েছে।

যখন চারাগাছগুলো দুই তিন ইঞ্চি বড় হয়ে যাবে তখন সবল চারা রেখে সবগুলো চারা অন্য টবে বা অন্য জমিতে লাগাতে হবে। জায়গা অনুযায়ী ১ থেকে ২ টা গাছ রাখা উচিত। এতে গাছের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটবে। মরিচ গাছের গোড়ায় সকাল বেলা পানি দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় গাছ বেশি লম্বা হয়ে গেলে পানি দেওয়ার সময় গাছ হেলে পড়ে যায়। গাছ হেলে পড়ে যাওয়া ঠেকাতে গাছের সাথে খুঁটি দিতে পারেন।

খেয়াল রাখবেন পানি দেওয়ার সময় যেন গাছের পাতা গুলো না ভিজে। গাছের পাতা ভিজলে রোগ বালাই বেশি হয়। আবার পানির জমে গাছ যেন মারা না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হব। মরিচের গাছে ফুল ফল আসার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো-বাতাসের প্রয়োজন পড়ে। তাই গাছগুলো বেলকনির পাশে, ছাদে বা বারান্দায় সেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাস পরে সেখানে রাখতে হবে। সকাল বিকাল মরিচ গাছের পরিচর্যা করতে হবে।

মরিচ গাছে বিশেষ কোন রোগ সনাক্ত করা যায়নি। তবে কচি ডগা খাওয়ার জন্য পিঁপড়ার উপদ্রব দেখা যায়। তাই উপদ্রব কমাতে পাউডার জাতীয় কীটনাশক গাছের চারিধার দিয়ে দিতে হবে যাতে পিপড়া গাছের কাছাকাছি আসতে না পারে। গাছে ফুল আসার ১০-১২ দিন পর থেকে মরিচ ধরতে শুরু করে। এবং ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে মরিচ গাছ থেকে সংগ্রহ করা যায়।

একটি উপযুক্ত গাছ থেকে প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৭০ টি মরিচ তোলা যায়। দ্বিতীয় ধাপে ১০০ থেকে ১৫০ টি মরিচ তোলা যায়। সাধারণত দুই ধাপে বেশি মরিচ তোলা যায়। আস্তে আস্তে মরিচের পরিমাণ কমতে থাকে। মরিচ গাছের ঠিকমত পরিচর্যা করলে ভালো ফলনের আশা করা যায়। 

মরিচের পাতা কোকড়ানো রোগের ঔষধ

মরিচ গাছের পাতা কুকরিয়ে যাওয়া রোগ সাধারণ একটি রোগ। এই রোগটি কোন ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হয় না। এটি পোকামাকড় দ্বারা হয়। মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ে যাওয়া সাধারণত কয়েকটি পোকামাকড়ের দ্বারা হয়। লালমাকড়, সাদা মাছি, জাব পোকা এইসব পোকামাকড়ের আক্রমণের ফলে মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা

সাধারণত গাছ লাগানোর ৭-১০ দিনের মধ্যে এই পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দেয়। সাধারণত কয়েক ধরনের পোকামাকড়ের কারণে পাতা কুঁকড়ে যাওয়া রোগ হয়। পোকামাকড় গুলো হল-থ্রিপস পোকা, লালমাকড়, জাব পোকা এবং সাদামাছি। এগুলো আক্রমণের ফলে গাছের পাতা কুঁকড়ে যায় এবং গাছের পাতার শিরা গুলো হলুদ হয়ে যায়।

এই পোকামাকড় আক্রমণের ফলে গাছের আগার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। গাছে ফল ধরা কমে যায় এবং ফল আকারে ছোট হয় ও কোকড়ানো হয়।  অনেকগুলো ডালপালা বের হয়, যা দেখতে ঝোপের লাগে। গাছের পাতা ছোট বের হয় এবং গুচ্ছাকৃতির দেখা যায়।আক্রান্ত গাছের পাতা কোঁকড়িয়ে নিচের দিকে বাঁকা হবে এবং স্বাভাবিক পাতার তুলনায় পুরু হয়।

খুব তাড়াতাড়ি এই পোকামাকড় গুলো নিধন না করলে পুরো জমিতে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পোকামাকড় দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।প্রথমে খেয়াল করতে হবে কোনগুলো গাছে রোগ দানা বেঁধেছে। যদি অল্প হয় তাহলে রোগাক্রান্ত কাজগুলো উপড়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

মরিচের-চারা-উৎপাদন-পদ্ধতি-টবে-মরিচ-চাষ-পদ্ধতি

রোগাক্রান্ত ছাড়া কোনোভাবেই লাগানো যাবে না। যদি সম্ভব হয় জমি চাষ দেওয়ার পর পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে অথবা কাঠের গোড়ায় বিছিয়ে আগুন ধরিয়ে দিতে হবে তাহলে রোগ জীবাণু ছড়ানো পোকামাকড় মরে যাবে। তাছাড়া জমি চাষ দিয়ে ১০-১২ দিন ফেলে রাখতে হবে সূর্যের তাপে। সূর্যের তাপে পোকামাকড় মরে যাবে।

সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংরক্ষণ করতে হবে আগামী বছর মরিচ চাষ করার জন্য। মরিচের বীজ বপণের পূর্বে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। যেন কোন রোগবালাই মরিচের গাছকে আক্রমণ করতে না পারে। তারা অবস্থায় জীবাণুনাশক সাকসেস ২.৫% এস সি অথবা এমবেকটিন ১.৮% প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি ভালো করে মিশিয়ে বাহক পোকার অপর স্প্রে করতে হবে। প্রথমবার স্প্রে করার পর ৩-৫ দিন পর আবার স্প্রে করে দিতে হবে। এমন ভাবে স্প্রে করতে হবে গাছের ওপরে এবং নিচে পুরোপুরি ভিজে যায়।

মরিচ গাছের ফুল ঝরে যায় কেন

আপনারা অনেকে প্রশ্ন করেন মরিচ গাছে ফুল আসে কিন্তু পরে আবার ঝরে যায়। মরিচ গাছে ফুল আসার পরে ঝরে যাওয়ার অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে। মরিচ গাছের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো বাতাস এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে আমাদের দেশের মরিচ চাষীদের সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো মরিচ গাছে ফুল আসে কিন্তু পরে ঝরে পড়ে যায়। মরিচ ঝরে পড়া লক্ষণগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো-

  • মরিচ গাছের ফুল ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ হলো দিনের বেলা তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশি হলে এবং রাতের বেলায় তাপমাত্রা 16 ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে হলে ফুল ঝরে পড়ে।
  • অতিরিক্ত গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলে।
  • গাছের গোড়ায় পানির অভাব হলে।
  • অতিবৃষ্টি হলে।
  • ফুলের সঠিকভাবে পরাগায়ন না হলে।
  • ফুল আসা গাছে সার প্রয়োগ করলে।
  • শোষক জাতীয় পোকা আক্রমণ করলে। যে পোকাগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। যেমন জাব পোকা, লালমাকর এবং সাদামাছি।
  • মাটিতে যদি বোরন সার না প্রয়োগ করলে ফুল ঝরে যায়। 

প্রতিকার

  • যে মাটিতে মরিচ গাছ লাগানো হবে সেটি যেন দোআঁশ মাটি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • অতিমাত্রায় সার প্রয়োগ করলে উপকারী পোকা মারা যায় ফলে ফুলের পরাগায়ন হয় না তাই ফুল ঝরে পড়ে।
  • সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে।
  • ফুল ফল ঝরে পড়াকালীন সময়ে প্রতি দুই লিটার পানিতে হাফ চা চামচ ইউরিয়ার সাথে এক চিমটি বোরন মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ও গাছের গোড়ায় ঢেলে দেওয়া যেতে পারে। একবার প্রয়োগ করলে প্রতি তিন দিন অন্তর পুনরায় প্রয়োগ করতে হবে।
  • প্রতি লিটার পানির সাথে হাফ চা চামচ পি এস পি ও পটাশ সার গুলিয়ে গাছের গোড়ায় ঢেলে দেওয়া যেতে পারে।

শেষ কথাঃমরিচের চারা উৎপাদন পদ্ধতি-টবে মরিচ চাষ পদ্ধতি

মরিচের চারা উৎপাদন পদ্ধতি-টবে মরিচ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।মরিচ বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত একটি মসলা। সঠিকভাবে চারা উৎপাদন এবং যত্নসহকারে টবে মরিচ চাষ করলে ঘরোয়া পর্যায়েও প্রচুর ফলন পাওয়া সম্ভব। ভালো জাতের বীজ নির্বাচন, বীজতলায় রোগমুক্ত চারা তৈরি, পর্যাপ্ত রোদ ও পানি সরবরাহ এবং সময়মতো সার প্রয়োগ মরিচ চাষের মূল চাবিকাঠি।

টবে মরিচ চাষের সুবিধা হলো—এটি খুব অল্প জায়গায় করা যায় এবং যত্ন নিলেই টবেই গাছে গাছে মরিচ ঝুলতে দেখা যায়। নিয়মিত পানি দেওয়া, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ, এবং শুকনো পাতাগুলো ছেঁটে ফেলা গাছকে সুস্থ রাখে ও ফলন বাড়ায়।অল্প পরিশ্রম ও যত্নে ঘরের বারান্দা, ছাদ বা উঠানে টবেই সহজে মরিচ চাষ করে নিজের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এতে একদিকে যেমন বিশুদ্ধ ও নিরাপদ মরিচ পাওয়া যায়, অন্যদিকে বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে মরিচের চারা উৎপাদন পদ্ধতি এবং মরিচের রোগ বালাই নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। পোস্টে পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে বা কিঞ্চিৎ পরিমাণ উপকারে আসে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url