গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয়
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয় অনেকেই জানার আগ্রহ পোষণ করেন। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স মাদার কত মাস থেকে খেতে হয় এবং মাদার হরলিক্স খেলে কি হয় তা বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব এই পোষ্টের মাধ্যমে।
পোস্ট সূচীপত্রঃগর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয়
- গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয়
- গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয়
- মাদার হরলিক্স এর কাজ কি
- গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম
- মাদার হরলিক্স প্লাস এর উপকারিতা
- মাদার হরলিক্স খেলে কি বাচ্চার ওজন বাড়ে
- মাদার হরলিক্স পানি নাকি দুধ দিয়ে খেতে হয়
- মাদার হরলিক্স 350 গ্রাম দাম বাংলাদেশে
- গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স এর অপকারিতা
- লেখকের মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয়
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয়
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয় তা অনেকেরই অজানা। মাদার হরলিক্স খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টিসমূহ মায়ের এবং গর্ভে থাকা শিশুর জন্য খুবই উপকারী। গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স সাধারণত গর্ভবতী অবস্থায় প্রথম মাস থেকেই খাওয়া উচিত। এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ এবং স্ট্যামিনার ঘাটতি পূরণ করে।
অনেক গর্ভবতী মায়েরা আছেন যারা গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টিকর খাবার যেমন মাছ, দুধ,
ডিম ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন না। তাদের জন্য মাদার হরলিক্স একটি অনন্য খাবার। যা
শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি গর্ভে থাকা বাচ্চার পুষ্টি উপাদান
যোগ হয়। আপনি যদি প্রেগনেন্ট অবস্থায় প্রথম মাস থেকে শুরু করে কন্টিনিউ
খেতে থাকেন তাহলে আপনার অনেক উপকার হবে।
মাদার হরলিক্স গর্ভকালীন সময় থেকে শুরু করে বাচ্চাকে যতদিন দুধ পান করাবেন ততদিন আপনার খাওয়া উচিত। কারণ গর্ভকালীন সময়ে আয়রনের ঘাটতি পরে তা পূরণ করে মাদার হরলিক্স। আবার আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে মাদার হরলিক্স খেলে অন্য কোন খাবার যেমন ফলমূল, মাছ-মাংস, দুধ-ডিম ইত্যাদি না খেলেও চলবে।
আরো পড়ুনঃগর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা
কিন্তু তা নয়। মাদার হরলিক্স এর পাশাপাশি আপনাকে নিয়মমতো পুষ্টিকর খাবারের দিকে
নজর দিতে হবে। মাদার হরলিক্স হলো গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টিকর খাবারের সহায়ক হিসেবে
কাজ করে। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় সব খাবার ভালোভাবে খেতে পারেন তাহলে মাদার
হরলিক্স না খেলেও সমস্যা হবে না। অনেকের আর্থিক প্রবলেম এর জন্য মাদার হরলিক্স
খেতে পারেন না।
মাদার হরলিক্স আপনাকে যে খেতেই হবে এমন কোন নিয়ম নেই। আপনার আর্থিক অবস্থা বুঝে আপনি মাদার হরলিক্স খেতে পারেন। তাছাড়া ব্যবস্থা হয় শাকসবজি, দুধ, ডিম, ইত্যাদি খেতে থাকেন। বিশেষ করে শাক-সবজি খাবেন। এতে আপনার মাদার হরলিক্স এর যে গুনাগুন তার শরীরে পূরণ হবে। হলে বুঝতেই পারছেন গর্ভাবস্থায় বাধা হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয়।
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয়
গর্ভবতী মায়ের জন্য মাদার হরলিক্স খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কারণ মাদার হরলিক্স
এমন অনেকগুলো যৌগ সমন্বয়ে গঠিত করেছে যা মাতৃকালীন সময়ে প্রয়োজনীয়
পুষ্টির অভাব পূরণ করে। গর্ভবতী সময়ে কমন সমস্যা হল রক্তশূন্যতা। এই
রক্তশূন্যতা পূরণ করতে মাদার হরলিক্সের আয়রন দিয়ে যা মায়ের গর্ভবতী সময়ে
রক্তশূন্যতা পূরণ করে। তাছাড়া ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক,
আইরন, কসফরাস ইত্যাদি যৌগমূলে গঠিত।
গর্ভকালীন সময়ে আপনার সুস্থতা এবং আপনার শিশুর সুষ্ঠু বিকাশের জন্য মাদার
হরলিক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভকালীন সময়ে অনেক মা খাবার খেতে পারেন
না। তখন আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং গর্ভের বাচ্চার বিকাশ, ওজন সঠিক
ভাবে হয়ে ওঠেনা। তাই খাবারের পাশাপাশি মাদার হরলিক্স অত্যন্ত ভালো।
মাদার হরলিক্স খেলে খাদ্য হজম, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, রক্তস্বল্পতা দূর হয়,
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, রক্ত
পরিষ্কার করে, বাচ্চার বিকাশ ঠিক করে, বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পায় প্রভৃতি কাজে
পারদর্শী হলো মাদার হরলিক্স। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন গর্ভাবস্থায় মাদার
হরলিক্স খেলে কি হয়। তবে আমার একটা কথা আর্থিক সমস্যায় থাকলে মাদার
হরলিক্স খেতেই হবে এরকম কোন ধরা বাধা নিয়ম নাই।
মাদার হরলিক্স এর কাজ কি
গর্ভাবস্থায় বা দুগ্ধ দানকারী মহিলারা মাদার হরলিক্স খেতে পারেন, এতে কোন ধরা বাধা বয়স নাই। গর্ভধারণের তিন মাস থেকে শুরু করে দুগ্ধ দানকারী মায়েরা খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এ সময় একজন গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা পাশাপাশি মাদার হরলিক্স রাখতে পারেন। এতে করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে। গর্ভের শিশুর সঠিক বিকাশ এবং ব্রেন ডেভেলপ করতে সাহায্য করে মাদার হরলিক্স। মাদার হরলিক্স রয়েছে কোলিন নামক যৌগ যা শিশুর ব্রেন ডেভলপ করতে সাহায্য করে।
মাদার হরলিক্স বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। স্তন্য দানকারী মায়ের জন্য মাদার হরলিক্স গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রলেক্টিন নামক হরমোন দ্বারা গঠিট মাদার হরলিক্স। আর প্রলাক্টিন হরমোন মায়ের দুধ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় হরমোন। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন, ডিএইচএ আর এ সকল উপাদান গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী। এটি শুধু গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে সীমাবদ্ধ থাকে তা নয় এটি তার গর্ভের সন্তানের শারীরিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং বাচ্চার জন্মকালীন ওজন বৃদ্ধিতে কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে। মাদার হরলিক্স ক্যালরি পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে। দেখা যাচ্ছে যে অনেক মহিলারা গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো খাদ্য খেতে পারেনা এক্ষেত্রে অনেকের পুষ্টির অভাব দেখা দেয় আর এক্ষেত্রে মাদার হরলিক্স পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করে থাকে। যখন কোন গর্ভবতী মহিলারা ঠিকমতো পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারছে না বা পুষ্টির ঘাটতি হচ্ছে এ অবস্থায় তখন তারা তাদের শরীরের কথা চিন্তা করে মাদার হরলিক্স খেতে পারেন এতে করে মা ও শিশু দুজনার স্বাস্থ্যই সুস্থ থাকবে। গর্ভাবস্থায় এরকম পরিস্থিতিতে মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার কোন ধরা বাধা নিয়ম নাই। আপনি যে সাইজের
মাদার হরলিক্স কিনেন না কেন সেই মোড়ক বা প্যাকেটের গায়ে ব্যবহারবিধি বা খাওয়ার
নিয়ম উল্লেখ করা থাকে। সাধারণ হরলিক্স যেমন আমরা পানি বা দুধের সাথে মিশ্রণ করে
খায়। ঠিক তেমনি মাদার হরলিক্স পানি বা দুধের সাথে খাওয়া যায়। আপনার স্বাদ
অনুযায়ী এক্সট্রা চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন।
মোড়কের তথ্য অনুযায়ী আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার মাদার হরলিক্স খেতে পারেন।
আপনি ২৫০ গ্রাম গরম পানির সাথে বা গরম দুধের সাথে ২৫ গ্রাম হরলিক্স মিশিয়ে খেতে
পারেন। দিনে তিনবার খেলে যদি পেটের কোন সমস্যা হয় তাহলে যেকোন দুইবার খাবেন।
যেমন সকালে নাস্তার পর এবং রাতে ঘুমানো যাবার আগে। তারপরও যদি পেটের পিরা জনিত
সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাদার হরলিক্স সেবন করুন।
মাদার হরলিক্স প্লাস এর উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। আমরা অনেকেই ভাবি হয়তোবা মাদার হরলিক্সই একটি গর্ভবতী মায়ের সকল পুষ্টিগুণের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আসলে বিষয়টি তা নয়। হরলিক্স হচ্ছে একটি বৈজ্ঞানিক কৃত্রিমভাবে তৈরি পুষ্টিগুণের উৎস। আমরা অনেকে জানি যে হরলিক্সে অনেক পরিমাণে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে।
তেমনি মাদার হরলিক্স একটি কৃত্রিমভাবে তৈরি ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার যা মায়ের দেহের জন্য অনেক বেশি উপকারী। মাদার হরলিক্সে বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং শরীরে ভিটামিন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যে উপাদান গুলোর দরকার সেই উপাদান গুলো রয়েছে। মাদার হরলিক্সে যেই ভিটামিন গুলো পাওয়া যায় সেগুলো হচ্ছে -
এতে ভিটামিন B1, B2, B6, B12 ভিটামিন এ ক্যালসিয়াম আয়োডিন ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের ভিটামিন এতে পাওয়া যায়। এছাড়াও মাদার হরলিক্সে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট এ মিনারেল ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা মায়ের বুকের দুধের গুণগতমান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় লাল শাক খাওয়ার উপকারিতা
মাদার হরলিক্স একটি গর্ভবতী মায়ের দৈনিক শারীরিক ওজন এবং পেটের বাচ্চার দৈনিক গঠন এর উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। বাচ্চার ব্রেনের গঠন সুন্দর ও বিকশিত করে। গর্ভ অবস্থায় প্রাকৃতিক সকল শাকসবজি বা অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেনা। তার বিকল্প হিসেবে মাদার হরলিক্স খাওয়ানো যেতে পারে। যা শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে।
মাদার হরলিক্স খেলে কি বাচ্চার ওজন বাড়ে
অনেকেই জানতে চান যে গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি বাচ্চার ওজন বাড়ে। মাদার হরলিক্স খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে পেট ভরে খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকায় পুষ্টিকর এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার রাখতে হবে। তাছাড়া মাদার হরলিক্স খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে তিনবারের জায়গায় পাঁচবার খাবার গ্রহণ করতে হবে। এতে বাচ্চা ওজন বাড়বে এবং দ্রুত বিকাশ ঘটবে।
মাদার হরলিক্স খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ার পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েরও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা পায়, দেহ শক্তিশালী এবং মনকে প্রফুল্ল করে রাখে। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে শুধু পর্যাপ্ত খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়বে না আপনাকে বিশ্রাম নিতে হবে। তাই ভালো মানের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বিশ্রাম নেওয়াটা জরুরী।মাদার হরলিক্স পানি নাকি দুধ দিয়ে খেতে হয়
মাদার হরলিক্স পানি নাকি দুধ দিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আবার আরো একটি
প্রশ্ন থেকে যায় যে, ঠান্ডা পানি দিয়ে নাকি গরম পানির সাথে মাদার হরলিক্স
মিশিয়ে খেতে হয়। অনেকেই মনে করেন বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকে তারা মনে করে
মাদার হরলিক্স ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে হয়। কিন্তু তা
নয়, সব কাজেরই নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে।
মাদার হরলিক্স পানি গরম করে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ভিটামিন দ্বিগুণ হয়ে যায়। দুধের থাকা প্রোটিন আর মাদার হরলিক্স এ থাকা প্রোটিন একত্রে হয়ে এক শক্তিশালী যৌগ গঠন করে যা মায়ের এবং গর্ভে থাকা শিশুর জন্য খুবই উপকারি।দুধে থাকে এমিনো এসিড, বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ
থাকে যেমন ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আইরন, কপার, আয়োডিন, কোবাল্ট, জিংক এবং সেলেনিয়াম ইত্যাদি। গরুর দুধের মধ্যে পানি থাকে ৮৬.৫ শতাংশ, চর্বি থাকে ৪.৫%, ল্যাকটোজ থাকে ৪.৮%, প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ৩.৫ শতাংশ এছাড়াও ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে ০.৭%।
অনেক সময় দেখা যায় ঠান্ডা পানি দিয়ে বা ঠান্ডা দুধ দিয়ে হরলিক্স মিশিয়ে খেলে
পেটের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন বদহজম, পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা এবং
পায়খানা জনিত সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া আপনি যদি দিনে তিনবার মাদার হরলিক্স খান
তাহলে যদি আপনার পেটের সমস্যা হয় তাহলে দুইবার খাবেন। দুইবার খাওয়ার পরও যদি
পেটের সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
মাদার হরলিক্স 350 গ্রাম দাম বাংলাদেশে
বর্তমান সময়ে অনেক গর্ভবতী নিজেদের স্বাস্থ্য এবং বাচ্চার স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক
বেশি সেনসিয়ার। তাই নিজের শরীর সুস্থ রাখতে এবং বাচ্চার শরীর সুস্থ রাখার
জন্য অনেক কিছু খেয়ে থাকেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো গর্ভ অবস্থায়
মাদার হরলিক্স। যা বর্তমানে ফার্মেসি সহ বিভিন্ন মুদির দোকানে পাওয়া
যায়।
মায়েদের চাহিদা এবং স্বাদের উপর ভিত্তি করে কয়েকটা ফ্লেভারের মাদার হরলিক্স
পাওয়া যায় বাজারে। যেমন ভ্যানিলা ফ্লেভার, চকলেট ফ্লেভার, হরলিক্স প্লাস
ইত্যাদি। এক একটা ফ্লেভার এর বা একেকটা সাইজের একেক রকম দাম। তবে আমরা সঠিক
দাম না জানার জন্য বাজারে বা ফার্মেসিতে গিয়ে মাদার হরলিক্স কিনতে ঠকে
যায়।
ভ্যানিলা ফ্লেভারের ৩৫০ গ্রাম মাদার হরলিক্স এর দাম ৪৯০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।
মাদার হরলিক্স প্লাস ৩৫০ গ্রামের দাম ৫৮০ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম এর দাম ৯০০
থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। তাছাড়া মাদার হরলিক্স কিনা সময় লক্ষ্য রাখবেন
মেয়াদ ঠিক আছে কিনা। আবার প্যাকেটের গায়ে মূল্য ঠিকঠাক দেওয়া আছে কিনা এগুলা
যাচাই করে নিবেন।
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স এর অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমন এর অপকারিতার দিকটিও রয়েছে। তাই আমাদের মাদার হরলিক্স খাবার পূর্বে অবশ্যই এর অপকারি দিকগুলো মাথায় রাখা উচিত। আমরা ভাবি হয়তোবা মাদার হরলিক্সি একটি গর্ভবতী মায়ের সকল পুষ্টি গুণের জন্য যথেষ্ট কিন্তু বিষয়টা আসলে তেমন নয়।
মাদার হরলিক্স একটি মায়ের জন্য যতটা উপকারী তার চাইতে বেশিরভাগ দিক থেকেই এটি মায়ের জন্য ক্ষতিকর। গর্ভবতী মায়েদের জন্য মাদার হরলিক্সের অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এতে করে মা সহ পেটের বাচ্চারাও বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। একজন মায়ের কখনোই প্রথম অবস্থা থেকেই মাদার হরলিক্স খাওয়া শুরু করা উচিত নয়।
তাই মাদার হরলিক্স কখন খাওয়াবো এ সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। একজন মাকে মাদার হরলিক্স তখনই খাওয়ানো যেতে পারে যখন একজন গর্ভবতী মা তার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের জন্য প্রাকৃতিক ফলমূল শাকসবজি খেতে না পারে। তবুও মাদার হরলিক্সে যে কৃত্রিম পুষ্টি উপাদানগুলো থাকে তা কখনোই প্রাকৃতিক শাক সবজি ফলমূলের চাহিদা পূরণ করতে পারবে না।
অনেক সময় দেখা যায় যে গর্ভবতী মা দুধ খেতে পারে না। সে ক্ষেত্রে তাদেরকে দুধের সাথে মাদার হরলিক্স মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। মাদার হরলিক্স গর্ভবতী মায়ের ওপর বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। যেমন পেট ব্যথা, বদহজম, পেট জ্বালাপোড়া এমন কি পেটের বাচ্চার ও ক্ষতি করতে পারে মাদার হরলিক্স।
তাই একজন গর্ভবতী মায়ের উচিত প্রথম থেকেই মাদার হরলিক্স না খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। তবে যদি কোন ভাবে এই প্রাকৃতিক পুষ্টিকর খাবার গুলো খেতে না পারে তাহলে সেটার ব্যতিক্রম হিসেবে মাদার হরলিক্স এর পুষ্টি উপাদান গুলো কাজে লাগানো যেতে পারে।
লেখকের মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয়
প্রিয় পাঠক, আপনারা আজকে জানতে পারলেন গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস
থেকে খেতে হয় এবং মাদার হরলিক্স খেলে কি হয় বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই মাদার
হরলিক্স খেলে আপনার বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্রেন ডেভেলপ করবে। একজন সুস্থ
বাচ্চা কে না চায় তাই প্রাকৃতিক শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি হরলিক্স খাওয়ার
অভ্যাস করে তুলুন।
আমার মতে, মাদার হরলিক্স খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত। কারণ শরীর যদি সুস্থ থাকে আর প্রাকৃতিক খাবার যদি আপনি ঠিকমত খেতে পারেন তাহলে মাদার হরলিক্স খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। কেননা প্রাকৃতিক শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। তাই প্রাকৃতিক খাবার গুলো খাওয়া অভ্যাস করা উচিত।



ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url