আদার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আদার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কাঁচা আদা খেলে কি হয় তা তা বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমেই আদার যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।  

আদার-২০টি-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কেআদা একটি মসলা জাতীয় খাদ্য।তবে আদা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। আদা সকল রোগের মহা ঔষধ যা আমাদের দেহের রোগ নিরাময়ের যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। আদা সব বয়সী মানুষের জন্য উপকারী। তাহলে চলুন মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করি-

পোষ্ট সূচিপত্রঃ আদার উপকারিতা ও অপকারিতা

আদার উপকারিতা ও অপকারিতা

আদা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। মসলা জাতীয় খাবার হলেও নানা  পুষ্টিগুণ ও ভেষজ গুণে ভরপুর হলো আদা যা, প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আদাতে রয়েছে-ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং খনিজের মধ্যে-পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফসরাস সহ আরো খনিজ উপাদান। আদা সবা বয়সী মানুষের জন্য উপকারী হলেও বিশেষ করে শিশুদের বেশি কার্যকরী।

আদা আমরা তরকারির সাথে মসলা হিসেবে খায়। কিন্তু আদার অনেক ওষুধি গুন আছে যা অনেকেই জানেন না। কাঁচা আদার রস খেলে অনেক উপকার রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ভাবেই ব্যবহার করা যায়, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কথায় আছে,"আদা সকল রোগ নিরাময়ের দাদা"। যার অর্থ আমাদের শরীরে রোগ নিরাময়ের জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তাহলে চলুন আদার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি-

আদার উপকারিতা 

আদার উপকারিতা রয়েছে অনেক। আপনি আদা যেভাবে খান না কেন এর পুষ্টিগুণ শেষ হবার নয়। তাহলে চলুন আদার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করি-

সর্দি কাশি দূর করতে আদার ব্যবহার অপরিহার্য । আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট , যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সর্দি,কাশি এবং গলা ব্যথা হতে সহজে মুক্তি পেতে হলে সকাল বিকাল আদা চা বা আদা মিশ্রিত গরম পানি খান। উপকার পাবেন।

আরো পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন

প্রাচীনকালে আদা দিয়ে বড়ি বানিয়ে রাখা হতো। যখন কারো সর্দি বা গলা ব্যথা হত তখন ওই বড়িগুলো চকলেটের মত চুষে খেলে সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা সেরে যেত। আদার বড়ি বানানোর রেসিপি হল-একসাথে অনেকগুলো আদা নিয়ে সেগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পাতলা ছাকনির মাধ্যমে ছেঁকে নিতে হবে। তারপর আদার ছোবড়া গুলো ফেলে দিতে হবে। আধার পানি গুলো সারারাতের জন্য রেখে দিতে হবে।

পরদিন উপর থেকে পানিগুলো ফেলে দিলে নিচে যেই আদার আস্তরনটি পড়ে , সেটি ভালোভাবে শুকিয়ে দিতে হবে। তারপর আদার গুড়ো গুলোর সাথে গুড় মিশিয়ে জাল দিতে হবে। উপকরণটি আঠালো না হওয়া পর্যন্ত জাল দিতে হবে। আঠালো হয়ে আসলে নামিয়ে হালকা হালকা গরম চকলেটের মতো গোল গোল করে সংরক্ষণ করতে হবে। এই আদার বড়ি গুলো ঠান্ডা জনিত সমস্যা যেমন সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা হলে এটি খেলে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার জন্য আদা অন্যতম। অনেক বয়স্ক মানুষ আছে যারা গোড়ালি ব্যথায় ভোগেন। তাদের জন্য আদা হতে পারে কার্যকরী উপাদান। সামান্য পরিমাণ আদা এবং সামান্য পরিমাণ ধান নিয়ে একসাথে বেটে নিতে হবে। এই উপাদানটি হালকা কুসুম গরম করে ব্যাথাযুক্ত স্থানে প্রলেপ দিতে হবে। পরপর কয়েকদিন দিলে ব্যথার উপশম হবে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদা অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। আদা শরীরের শর্করা বা চিনি কমিয়ে দেয়। দেহের ইনসুলিন বৃদ্ধি করে আদা। তাই যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারা নিয়মিত পরিমান মত আদা খেতে পারেন। তবে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

কাঁচা আদা ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে। কাঁচা আদায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জিনজেরল নামক উপাদান যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। নিয়মিত আদা খাওয়ার ফলে দেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে। তাছাড়া আর মেয়েরা আদা খেলে স্তন ক্যান্সার এবং ওভারি ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আদার জুড়ি মেলা ভার। আদা রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সামান্য এক টুকরো আদার রস নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

বদহজম দূর করে আদা। যারা প্রতিনিয়ত পেটের সমস্যায় ভোগের তারা কাচা আদা খেয়ে দেখতে পারেন। পেটের নানা সমস্যা যেমন-পেট ফাঁপা, বাজে ঢেকুর ওঠা, বদহজম, পেটে ব্যথা এবং ক্ষুদা মান্দায় ভোগেন, তারা আদার রস বা কাঁচা আদা খেয়ে দেখতে পারেন। এতে আপনার পেটের সমস্যা দূর হবে।

আদা ক্ষতস্থান বা কাঁটা ছেঁড়া দ্রুত সারাতে পারে। আদতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য যা শরীরের যেকোন কাটা ছেঁড়া দ্রুত সারাতে পারে। আদা পরিমাণ মতো নিয়ে বেটে হালকা গরম করে ক্ষত স্থানে লাগালে দ্রুত সারে।

বর্তমানে মানুষের পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। এই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন খালি পেটে আদার রস খেলে পেটের সমস্যা দূর হয়।

মূত্র জনিত সমস্যা সমাধান করে আদা। অনেক মানুষের প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করে এবং দেখা যায় প্রসাব আটকে থাকে যা যন্ত্রণা দেয়। এরকম সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গরম পানি করে আদা মিশিয়ে ফেলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বমি দূর করতে আদা ব্যবহার করুন। গর্ভবতী মায়েরা অনেক সময় বমি বমি ভাব হয় তারা যদি নিয়মিত আদা খান তাহলে এই বমি বমি ভাব থেকে রেহাই পাবেন। তবে আদা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ডের সময় পেটব্যথা করে। এই পেট ব্যথা কমাতে পিরিয়ডের সময় বেশি বেশি আদা চা বা আদা মিশ্রিত গরম পানি খেলে ব্যথা অনেকটা উপশম হয়। তবে যে কোন ব্যাথাতে আদার রস অনেক উপকারী।

খারাপ কোলেস্ট্রল কমাতে আদার কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আমাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে। আদা খাওয়ার ফলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে যা হার্ট অ্যাটাকের মতো মরণব্যাধি রোগকে দূরে রাখে।

কাঁচা আদা খেলে কি হয়

কাঁচা আদা খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পায়, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সচ্ছন্দময় করে তোলে। আদাতে রয়েছে-ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং খনিজের মধ্যে-পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফসরাস সহ আরো খনিজ উপাদান। এই উপাদানগুলো শরীরে জ্বালাপোড়া রোধ করে, বমি বমি ভাব দূর করে, শরীরের মধ্যে ডিটক্সিফিকেশন এর কাজ করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে।

কাঁচা আদা খেলে পেটের বিপাক অন্ত্র গুলো সচল হয়। কিডনিজনিত সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা আদার রস এবং পানি কুসুম গরম করে খেলে পেটে চর্বিসহ পেটের নানা সমস্যা দূর হবে। তাই আদার উপকারিতা এবং অপকারিতা সবকিছু জেনে আজ থেকে আদা খাওয়া শুরু করুন।

প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়

প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়? এই প্রশ্ন যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে চলুন প্রতিদিন আদা খাওয়ার উপকারিতা বর্ণনা করি। প্রতিদিন আদা খেলে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। আদায় রয়েছে জিঞ্জেরল ও শোগাওল উপাদান। যা শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ঘাতক কোষ।

আরো পড়ুনঃঅ্যালোভেরা চাষের জন্য মাটির বৈশিষ্ট্য সেরা ১০টি কোশল

বর্তমানে অনেকের মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। এর বিশেষ কারণ হলো অতিরিক্ত মোবাইল চালানো। এই মাইগ্রেনের সমস্যায় ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আদা ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা পেশি শীতল করতে এবং রক্তনালীর ফোলাভাব দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শোগাওল মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ হ্রাস করতে পারে। এটি আপনার মস্তিষ্কের সংবেদনশীল এলাকায় রক্তের প্রবাহ কমিয়ে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

রাতে আদা খেলে কি হয়

রাতে আদা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো রাতে আদা খেলে কি হয়। আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা জানবো রাতে আদা খেলে কি হয়। রাতে আদা খাওয়ার নানা রকম উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উপকারিতা আপনাদের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রাতে আদা খেলে কি হয়।

  • রাতে আদা খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়, পেটের অতিরিক্ত গ্যাস জমা হওয়া এবং হজম জনিত সকল সমস্যার সমাধান করে।
  • ছোট বাচ্চা বা বয়স্ক মানুষ যাদের শরীর সহজে গরম হয় না তারা রাত্রে আদা মিশ্রিত পানি পান করলে তাড়াতাড়ি শরীর গরম হয়।
  • রাতে আদা খেলে শরীর গরম থাকে এবং সর্দি ও কাশির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • আদাতে যে সকল বিশেষ উপাদান রয়েছে সেগুলো মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং শরীরকে শিথিল রাখে যার ফলে ঘুম ভালো হয়।

আদার-২০টি-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে
অনেকের মধ্যে যৌন সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ঔষধ সেবন করে থাকে। যার ফলে দেহে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আদায় থাকা নানা ঔষধি গুণ যৌন দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে এবং যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই সহবাসের সময় যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং সহবাসের সময় দীর্ঘ করার জন্য সহবাসের সময় আদা খাওয়া উচিৎ।

এছাড়াও রাতে আদা খেলে নানা রকম উপকারিতা পাওয়া যায়। কিন্তু এজন্য আপনাকে সঠিক পদ্ধতিতে আদা খেতে হবে। রাতে আদা খাবার বিভিন্ন রকম উপায় রয়েছে। যেমন- আপনি এক কাপ গরম পানিতে কয়েক টুকরা আদা দিয়ে পাঁচ দশ মিনিট ভিজিয়ে রেখে আদা চা খেতে পারেন। কয়েক টুকরো আদা চিবিয়েও খেতে পারেন। আবার আদা, মধু এক কাপ গরম পানির মধ্যে মিশিয়ে চা হিসেবেও খেতে পারেন। এভাবে আদা খেলে আপনি খুব ভালো উপকার পাবেন।

গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা

গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার অনেক উপকার রয়েছে। গরম পানি শরীরের জন্য অনেক উপকার তবে তার সাথে আদা মিশালে এর পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ হয়ে যায়। গরম পানির সাথে আদা দেহের চর্বি গলায় এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে। গরম পানির সাথে আদা শরীরে  মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং চর্বি কমায় যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

গরম আদা পানি খেলে রক্তনালী প্রসারিত করে, রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকায় ক্ষতস্থান দ্রুত সারে। সর্দি কাশি উপশম হয়। গরম আদাপানির ভাব নিলে নিঃশ্বাস নেওয়ার সমস্যা দূর হয়। গরম আদা পানি খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয় যা ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ হয়।আদা হজম এনজাইম সক্রিয় করে এবং গ্যাস, অজীর্ণতা ও বমিভাব কমাতে সাহায্য করে। 

পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা

পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা অনেক। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও বর্তমানে বন্ধ্যাত্বের শিকার হচ্ছে। এর কারণ হলো খারাপ খাদ্যাভাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, ব্যস্ততার সময় ইত্যাদি কারণে ও দিনদিন ছেলেদের শুক্রাণু কমে যাচ্ছে। ফলে ছেলেরা বন্ধ্যাত্বের শিকার হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে আদা খেলে পুরুষদের ফার্টিলিটি বৃদ্ধি পায়।

এটি পুরুষদের শরীরে শুক্রাণু বাড়াতে সহায়তা করে।অনেকের মধ্যে যৌন সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ঔষধ সেবন করে থাকে। যার ফলে দেহে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আদায় থাকা নানা ঔষধি গুণ যৌন দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে এবং যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই সহবাসের সময় যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং সহবাসের সময় দীর্ঘ করার জন্য সহবাসের সময় আদা খাওয়া উচিৎ।

মহিলাদের জন্য আদার উপকারিতা

মেয়েদের শরীর সুস্থ রাখতে আদা অনেক উপকারী। মেয়েদের পিরিয়ড বা মাসিকের সময় পেট ব্যথা করে না এমন মেয়ে নেই বললেই চলে। এই পেট ব্যথার সময় আদা হতে পারে পেট ব্যথা কমানোর উপশম। পিরিয়ডের সময় গরম পানিতে আধা ফুটিয়ে তারপর থেকে গরম অবস্থায় পান করলে পেটের ব্যথা কমে।

আরো পড়ুনঃসকালে খালি পেটে কিসমিস ভেজানো জল খেলে কি হয়

তাছাড়া পেট ফাঁপা, বদহজম, পেটের অম্লতা ভাব এবং অস্বস্তিকর ঢেকুর ওঠা দূর করে এই আদা। আদা শুধু একটি মসলা নয় এটি মহা ওষুধে গুণে গুণান্বিত। আদা ছাড়া যেমন রান্নার স্বাদ নাই ঠিক তেমনি আদা ছাড়া সাধারণ সর্দি কাশিরও আরাম নাই। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত গরম পানির সাথে আদা মিশিয়ে খান। ভালো উপকার পাবেন।

আদা খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আদা খাওয়ার নিয়ম নির্ভর করছে আপনি কি উপকার পেতে আদা খাচ্ছেন তার ওপর। আপনি যদি মুখের রুচি বাড়াতে আদা খেতে চান। তাহলে আদা এবং সামান্য লবন নিয়ে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার মুখের রুচি বাড়বে। আবার সর্দি কাশি বা গলা ব্যথার উপশম হিসেবে আদা খেলে চায়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা আপনি গরম আদা পানি খেলে গলা ব্যথার উপশম হবে।

আদার-২০টি-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে
১ কাপ গরম পানিতে আধা চা চামচ কুচি করা আদা বা সামান্য আদার রস মিশিয়ে খেলে হজম ভালো হয় ও শরীর ডিটক্স হয়। ভারী খাবারের পর হজমে সমস্যা হলে ১ কাপ আদা চা খাওয়া উপকারী। দিনে ২–৩ বার হালকা গরম আদা চা বা মধু মেশানো আদার রস খেতে পারে,ঠান্ডা লাগলে বা গলায় ব্যথা ভালো হবে।

আদা খাওয়ার অপকারিতা

আদার উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত আদা খেলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কথায় আছে অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো নয় সেটা খাওয়া হোক বা কথা। তাই অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তাহলে চলুন আদা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি-

পরিমাণের বেশি আদা চা খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনকি অনিদ্রার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই পরিমাণ মতো আদা চা পান করুন।

গর্ভাবস্থায় আদা খাওয়া উচিৎ নয়। কারন আদা শরীরে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। গর্ভাবস্থায় আদা খেলে শিশু প্রিম্যাচিউর হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই গর্ভবতী নারীদের আদা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ। 

যারা উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের জন্য ওষধ সেবন করেন, তারা আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারন আদার পরিমাণ বেশি হলে সমস্যা আরও দিগুন হতে পারে।  

এ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে যাদের, তারা আদা খেলে শরীরে চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি শরীর ও মুখ ফুলে যেতে পারে। 

এছাড়াও পরিমাণের বেশি আদা খেলে ডায়রিয়া, পেট ব্যথার সমস্যা হতে পারে।

শেষ কথাঃআদার উপকারিতা ও অপকারিতা 

আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সঠিকভাবে আদার পুষ্টিগুণ গ্রহণ করতে পারবে। আদার উপকারিতা যেমন-রোগ নিরাময়ের সহায়তা করে, গ্যাস দূর করে, বমি বমি দূর করে এবং ঠান্ডা কাশি ও গলা ব্যথার উপশম করে। অপকারিতার মধ্যে হল-অতিরিক্ত খেলে গ্যাস হতে পারে, ব্লাড প্রেসার লো হয়ে যেতে পারে, অতিরিক্ত আদা খেলে রক্ত পাতলা হয়ে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ে এবং গর্ব অবস্থায় বেশি আদা খেলে ঝুঁকি বাড়ে।

তাই পরিমাণ মতো আদা খান আর সব পুষ্টিগুণ গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো নয়। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী, গর্ভবতী মায়ের আদা খাওয়ার পূর্বে ডক্টরের পরামর্শ গ্রহণ করুন। পোস্টটি পড়ে যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে কমেন্ট করবেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url