চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি ১০টি ঘরোয়া টিপস

চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি ব্যবহার জানলে আপনার চুলও সুন্দর, মসৃণ, মজবুত এবং ঘন লম্বা হবে। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন চুলের যত্নে আমলকি ও মেথির ব্যবহার এবং চুল লম্বা করতে মিথির ব্যবহার।

আপনি এমন কোন মেয়ে পাবেন না যে, তার চুল পছন্দ নয়। চুল হল মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতীক। আর এই চুল আকালে ঝরে পড়া, অকালপক্কতা, খুশকি, আগা ফাটা ইত্যাদির জন্য চুল নির্জীব এবং প্রাণহীন হয়ে পড়ে। তাই আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে চুলের যত্নে আমলকি ও মেথির ব্যবহার করে চুলকে সুন্দর করে তুলুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃচুলের যত্নে আমলকি ও মেথি ১০টি ঘরোয়া টিপস

চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি

চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি অনেক উপকারী। আমলকি এবং মেথি একত্রে চুলে লাগালে চুল হবে সুন্দর ঝলমলে এবং লম্বা। আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলকে গোড় থেকে মজবুত করে, চুলের খুশকি দূর করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল পাকা রোধ করে। মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আইরন। যা চুলের জন্য খুবই উপকার। মেথি দানা চুলের ড্রাই হাইড্রো টেস্ট ইস্টোরেন্ট যোগায় এবং চুল পড়া রোধ করে।

কিভাবে ব্যবহার করবেন 

একটি পাত্রে পরিমাণমতো পানি নিন এতে মেথি দানা এবং কয়েকটা আমলকি কুচি কুচি করে কেটে ওই একই পাত্রে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন গোসলের পূর্বে পানি গুলো দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। আপনি চাইলেও আমলকি এবং মেথির পেস্ট বানিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কিসমিস ভেজানো জল খেলে কি হয়

গোসলের 30 মিনিট পূর্বে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন এটি লাগানোর পূর্বে মাথার চুল যেন শ্যাম্পু করা থাকে। এটি ব্যবহার করলে চুলের শ্যাম্পু লাগানোর প্রয়োজন নেই। এটি ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুইবার ব্যবহার করুন। এক মাসের মধ্যে চুল পড়া কমবে।

চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার

চুলের যত্নে আমলকি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। যেমন-আমলকির তেল, আমলকির গুঁড়া বা প্যাক এবং আমলকি ভেজানো পানি। আপনি আমলকি যেভাবেই ব্যবহার করেন না কারণ কেন চুলের জন্য একই উপকার পাবেন। আমলকিতে রয়েছে মিনারেলস, ভিটামিন এবং ফাইড্রো নিউট্রিয়েন্ট এর মত জরুরী পুষ্টি উপাদান। যা চুলের রুক্ষতা এবং শুষ্কতা দূর করে।

কিভাবে ব্যবহার করবেন

আমলকির তেল তৈরি করার জন্য একটি পাত্রে আপনি পরিমাণ মতো নারকেল তেল নিবেন এবং এতে যোগ করবেন আমলকি। আমলকি কুচি কুচি করে কেটে সে তেলের ভিতরে দিবেন। এর সাথে আপনি আরো কিছু যোগ করতে পারেন,যেমন-কালোজিরা, মেথির দানা, পেঁয়াজ এবং অ্যালোভেরা। তারপর ধোঁয়া ওঠা না পর্যন্ত জাল করে থাকুন মিডিয়াম আঁচে। তারপর ঠান্ডা করে অন্ধকার জায়গায় রেখে দিন।

আমলকির গুড়া বা প্যাক বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আপনি যদি আমলকির প্যাক কিনে তার ভিতরে টক দই বা ডিম মিশিয়ে হেয়ার প্যাক বানিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখেন এতে চুল পড়া কমবে। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই প্যাকটি ব্যবহার করুন।

আমলকি ভেজানো পানি দিয়েও চুলের যত্ন নেওয়া যায়। তিন থেকে চারটি আমলকি নিয়ে পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। গোসল করার সময় শ্যাম্পু করার পর শেষ ধোয়া টি আমলকির পানি দিয়ে আমলকির ধুয়ে ফেলবেন। কয়েকবার এইভাবে করলে কয়েকবার ধোয়ার পরে দেখবেন চুল পড়া কমে গেছে, চুল মসৃণ হয়েছে, চুলের গোড়া মজবুত হয়, খুশকি দূর হয়। সপ্তাহে অন্তত দুইবার ব্যবহার করুন।

চুলের যত্নে ডিম ও মেথি

চুলের যত্নে ডিম ও মেথি ব্যবহার করলে ব্যবহার করলে চুলকে নরম, ঘন এবং ঝলমলে করে। এই প্যাকটি ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত করে, খুশকি দূর করে, এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।প্রোটিন, জিঙ্ক, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ হওয়ায় চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে মেথি। এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। 

ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুল ভাঙা কমায় ডিম। ডিমের কুসুমে থাকা বায়োটিন এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড মাথার ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়।এই প্যাকটি বানানোর পুরো রেসিপি নিম্নে আলোচনা  করা হলো-

ডিম ও মেথির হেয়ার প্যাক তৈরির পদ্ধতি

২/৩ টেবিল চামচ মেথি নিন এবং সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা মেথি গুলো বেটে নিন, এর মধ্যে আপনি ডিমের সাদা অংশ নিন ডিমের গন্ধ দূর করতে আপনি লেবুর রস মেশাতে পারেন। এরপর ভালো হবে ফেটিয়ে নিন। তারপরে এই মিশ্রণটি আপনার মাথার চুল এবং ত্বকে ভালোভাবে এপ্লাই করুন। প্রায় ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একবার এটি ব্যবহার করুন।

মেথি বাটা দিয়ে চুলের যত্ন

মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও নিকোটিনিক এসিড আছে যা চুলের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং চুলকে সুন্দরও মজবুত করে। মেথি ভেজানো পানি যেমন পেটের সমস্যা দূর করে ঠিক তেমনি চুলের সমস্যাও দূর করে। মেথি ভেজানো পানি চুলের গোড়ায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়া মজবুত করে। ৩০-৪০ মিনিট মাথায় রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাছাড়া আপনি সারারাত রেখে সকালে চুল ধুতে পারে।

আরো পড়ুনঃসকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

মেথিতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।ভেজানো মেথি পাটায় বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে মাথায় লাগাতে পারেন। গোসলের কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহের একবার ব্যবহার করুন। এছাড়াও মেথি চুলের অকালপক্কতা দূর করে। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং মেথি চুলের কন্ডিশনিং হিসেবে কাজ করে।

চুলের যত্নে মেথি ও এলোভেরা

চুলের যত্নেমেথি ও অ্যালোভেরা একসাথে ব্যবহার করা যেতে পারি। মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে এর পেস্ট বানিয়ে তাতে এলোভেরা জেল মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল পড়া কমে, চুল ঝলমলে হয়, খুশকি দূর করে। এছাড়াও আপনি মেথি ও অ্যালোভেরা এবং নারকেল তেল একসাথে মিশিয়েও পেস্ট বানিয়ে মাথায় এবং চুলের আগায় বা চুলে লাগালে উপকার পাবেন।

চুলের-যত্নে-আমলকি-ও-মেথি-১০টি-ঘরোয়া-টিপস

  • মেথিতে থাকা প্রোটিন ও নিকোটিনিক অ্যাসিড চুল মজবুত করে এবং অ্যালোভেরার প্রোটিওলাইটিক এনজাইম মাথার ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে চুল পড়া রোধ করে।
  • অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে, যা চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে।অ্যালোভেরার অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য খুশকি দূর করতে সাহায্য করে
  • মেথি ও অ্যালোভেরা উভয় উপাদানই চুলের গোড়ায় পুষ্টি জুগিয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

মেথি ও অ্যালোভেরা এবং নারকেল তেলের হেয়ার প্যাক তৈরির পদ্ধতি

মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট বানিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে অল্প পানি মেশাতে পারেন। এতে টাটকা অ্যালোভেরা জেল দিন। এর সাথে আপনি নারকেল তেল দিতে পারেন। এরপরে মিশ্রণটি ভালোভাবে মাথার চুলে এপ্লাই করুন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন।

আমলকির তেল তৈরির নিয়ম

আমলকির তেল তৈরি করা অনেক সহজ। যদি আপনার কাছে আমলকি সহজলভ্য হয় তাহলে আমলকির তেল বানিয়ে বছরের পর বছর সংরক্ষণ করতে পারবেন। আবার আমলকির তেল বিক্রি করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমলকির তেল চুলের গোড়া শক্ত করে, খুশকি দূর করে, চুল লম্বা করে। তাহলে চলুন আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম শিখি।

কিভাবে তৈরি করবেন

আমলকি তেল তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে কয়েকটি আমলকি ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে অথবা আপনি কাঁচা আমলকীয় নিতে পারেন। এরপর একটি পাত্রে পরিমাণ মতো নারকেল তেল বা তিলের তেল অথবা অলিভ অয়েল নিয়ে আমলকি আপনি চাইলে মেথিও যোগ করতে পারেন, অল্প আঁচে 10 থেকে 15 মিনিট ধরে জাল করুন।

যতক্ষণ না তেল থেকে ধোঁয়া উঠে ততক্ষণ জাল দিতে থাকেন। ধোঁয়া উঠে এলে চুলা বন্ধ করে তেলটি ঠান্ডা হতে দিন। তেলটি ঠান্ডা হয়ে এলে ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিয়ে কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসলের ঘন্টাখানেক আগে মাথায় তালুতে ম্যাসাজ করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত করবে, চুল পড়া কমবে এবং খুশকি দূর করবে।

আমলকির তেলের উপকারিতা

আমলকির তেলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের গোড়াকে মজবুত করে চুল পড়া কমায়, খুশকি দূর করে, চুলকে করে তোলে সুন্দর এবং ঝলমলে। ভিটামিন সি চুলের জন্য খুবই ভালো। চুল সুন্দর এবং সুস্থ রাখতে আমলকির ব্যবহার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিয়ে-

বাজারে আপনি আমলকির তেল পেয়ে যাবেন। অথবা আপনি নিজেই আমলকির তেল বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। কিভাবে আমলকি তেল তৈরি করতে হয় তা ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে। বুঝতে না পারলে পুনরায় আর্টিকেলটি পড়ুন। চুল পড়া কমাতে এবং চুলের ফলিকল শক্ত করতে আমলকি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি চুলে নিয়মিত ব্যবহার করলে এবং নিয়মিত মাথায় ম্যাসাজ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।

আমলকিতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন সব ধরনের ইনফেকশন থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে আমলকি তেল ব্যবহার করলে খুশকি বা মাথার ত্বকের চুলকানি সমস্যা কমে। এই তেল ব্যবহার করার আগে সামান্য গরম করে নিতে হবে। এরপর ভালোভাবে মেসেজ করুন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার ব্যবহার করুন

আমলকি রসের গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো চুলের গোড়া শক্ত করে। আমলকির রস ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পে কোলাজেন বৃদ্ধি পায় যা চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক। একটি বাটিতে আমলকী রস নিন এবং মাথায় ম্যাসাজ করুন। ত্রিশ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপরে কন্ডিশনার দিতে পারেন। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল দ্রুত লম্বা করতে সাহায্য করে।

এরপরে আপনি আমলকির গুঁড়ো পেস্ট হিসেবে চুলে লাগাতে পারেন। আমলকির গুড়োর সাথে টক দই ও লেবু মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এতে কন্ডিশনারির কাজ করবে। চুলের ঘনত্ব অনুযায়ী প্যাক আমলকির গুঁড়ো নিন এরপর এতে গরম পানি মিশন এর ভিতর এক চামচ টক দই এবং এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগান। এর সাথে আপনি একটি ডিমও দিতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত একবার এই রেমিডিটি ব্যবহার করুন। 

আমলকির রস সংরক্ষণ

আমলকির রস সংরক্ষণ করা যায় অনেকদিন পর্যন্ত। অনেক সময় দেখা যায় সংরক্ষণের অভাবে আমলকি নষ্ট হয়ে যায়। আবার সিজন ছাড়া অন সিজনে আমলকি পাওয়া কষ্টসাধ্য আবার অনেক দাম দিয়ে কিনতে হয়। তাই যখন আমলকি কম দামে অনেকগুলো পাওয়া যায় তখন কিনে সংরক্ষণ করলে অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তাহলে চলুন আমলকির রস সংরক্ষণ করে কিভাবে তা জেনে নিন-

আপনি আমলকি গুলো ভালো করে ধুয়ে নিবেন এরপর কিউব করে কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিবেন। অবশ্যই আপনাকে আমলকির বিচি ফেলে দিতে হবে। তারপর ছাকনি দিয়ে ভালো করে আমলকি রস থেকে নিন। ঢাকা হয়ে গেলে আইস ট্রেতে রেখে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। আমলকি রসগুলো আইস হয়ে এলে সেগুলো ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখুন। তাছাড়া আপনি

আমলকির শুকিয়েও সংরক্ষণ করতে পারবেন। এতে করে আমলকি কুচি কুচি করে কেটে রোদে শুকাতে হবে। আমলকি গুলো শুকিয়ে এলে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন। যদি খাওয়ার জন্য আমলকি সংরক্ষণ করতে চান তাহলে আচার করেও সংরক্ষণ করতে পারবে। তবে চুলের ক্ষেত্রে রস করে আইএস বানিয়ে রাখাই শ্রেয়।

নতুন চুল গজাতে আমলকি

নতুন চুল গজানোর জন্য আমলকি সরাসরি ব্যবহার করা যায়, যেমন আমলকির তেল ম্যাসাজ করা, আমলকির রস পান করা বা আমলকি ও অন্যান্য উপকরণের মাস্ক তৈরি করা। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস মাথার ত্বকের রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। 

চুলের-যত্নে-আমলকি-ও-মেথি-১০টি-ঘরোয়া-টিপস

আমলকির তেল গরম করে মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করলে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ে, যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এটি সারারাত রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন অথবা গোসলের এক দেড় ঘন্টা আগে চুলে লাগাতে পারেন।

  • আমলকির রস নিয়মিত পান করলে শরীরে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ হয়, যা কোলাজেন তৈরি ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 
  • আমলকি গুঁড়ো বা রস এবং অলিভ অয়েলের ঘন পেস্ট তৈরি করে চুলে ও স্ক্যাল্পে ৪০-৫০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। 
  • আমলকি ভেজানো পানি ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং পাতলা চুল ঘন হয়। এটি গোসলের পূর্বে মাথায় দিয়ে শুকনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নাই।

লেখকের মন্তব্যঃচুলের যত্নে আমলকি ও মেথি ১০টি ঘরোয়া টিপস

প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি ব্যবহার সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। চুল হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই চুলের যত্নে কোন কম্প্রোমাইজ করা ঠিক নয়। তাই এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি এবং চুলের যত্নে ডিম ও মেথির ব্যবহার। সুন্দর এবং ঝলমলে চুল পেতে আমলকি ও মেথির উপকারিতা অনেক।

আমার মতে, লম্বা চুল সবার পছন্দ। তাই লম্বা এবং সুন্দর চুল পেতে চুলের যত্ন করা দরকার। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে চুলের যত্ন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টটি পড়ে এবং ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে, চুলের গোড়া মজবুত হবে, এবং চুল দ্রুত লম্বা করবে। ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। কমেন্ট করে আপনার মতামতটি জানাবেন। আপনার বক্তব্য আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url