হাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা-সত্যি কি উপকার পাচ্ছেন?
হাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা নাকি ফুল বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্ধে থাকেন। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে হাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা এবং কাঁচা ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।
এখন শীতকাল প্রায় সবাই ডিম খেয়ে থাকেন। কিন্তু হাফ সিদ্ধ ডিম
খাওয়ার উপকার বেশি নাকি ফুল সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকার বেশি তা অনেকেই জানেন
না। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারবেন যে আপনার জন্য কোন ডিমটি
পারফেক্ট। তাহলে চলুন দেরি না করে মূল আলোচনায় যায়।
পোস্ট সূচীপত্রঃহাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- হাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- ডিমের পুষ্টিগুণ বর্ণনা
- ফুল সিদ্ধ ডিম নাকি হাফ সিদ্ধ ডিম খাচ্ছেন
- বাচ্চাদের হাফ সিদ্ধ ডিম খাওয়ানো যাবে কি?
- বাচ্চাদের দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত
- কাঁচা ডিম খেলে কি হয়
- দিনে কতগুলো ডিম খাওয়া যাবে?
- প্রতিদিন সকালে সেদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- হাঁসের ডিম নাকি মুরগির ডিম কোনটি উপকারী
- ডিমের কুসুম খাওয়া নিয়ে সমস্যা
- লেখকের মন্তব্যঃহাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা
হাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা
ডিম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। কম খরচে ডিমের চেয়ে পুষ্টিকর খাবার খুঁজে পাওয়া সত্যি কঠিন।ডিমকে একটি সুপার ফুড (Super Food) বলা হয় কারণ এটি প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর। প্রোটিন একটি সুষম খাদ্য অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের তুলনায় ডিমের দাম কম থাকায় গরীব, ধনী, মধ্যবিত্ত সবাই এই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারে। ডিম অনেকভাবে খাওয়া যায়। যেমন ডিম সেদ্ধ, ডিম অমলেট বা ভাজা, ডিম পোচ, ডিমের কালিয়া, ডিম বিরিয়ানি ইত্যাদি মজার মজার খাবার বানানো যায় ডিম দিয়ে।
ডিমে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। পুষ্টিকর এই ডিমে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, ভালো ফ্যাট ও প্রোটিন রয়েছে। এই কারণে ডিমকে সুষম খাদ্যের বলে থাকেন অনেক পুষ্টিবিদরা। তাই মানুষ ডিম হাফ বয়েল, ফুল বয়েল, কাঁচা খায়। কিন্তু আসলে কিভাবে খেলে পুষ্টিগুণ অখুন্ন থাকে তা আমরা জানিনা। ডিম খাওয়া নিয়ে অনেক মতভেদ আছে।কেউ বলেন হাফ বয়েল ডিম খেলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃসকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
আবার অন্যদিকে বলে ফুল বয়েল ডিম খেলে বেশি পুষ্টি। আবার কেউ কেউ মনে করে কাচা ডিম খেলে পুষ্টি বেশি। অনেকেই মনে করেন কাঁচা ডিমে নাকি বেশি উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা ডিম খেলে শরীরে পুষ্টি ঘাটতি দূর হয়। কেউ কেউ আবার হাফ বয়েল ডিমের কথাও বলেন। আসলে কি তাই? কাঁচা এবং হাফ সিদ্ধ ডিম উপকারি নাকি ক্ষতি।
অনেকেই কাঁচা ডিমের প্রশংসা করে থাকেন। তারা কাঁচা ডিম খেয়েও থাকেন। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কাঁচা ডিম খেলে শরীরে উপকারের বিপরীতে ক্ষতি হবে। এই অভ্যাসের জন্য নানা রোগে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে।
ডিমের পুষ্টিগুণ বর্ণনা
ডিম হলো সহজপাচ্য খাবার। সেদ্ধ ডিম খেলে হজম প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি কাজ করে। একটি
ডিমে ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এই প্রোটিন কিন্তু স্বাস্থ্য গুণে সেরার
সেরা। তাই নিয়মিত ডিম খেলে দেহের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে। শুধু তাই নয়, এতে
রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম
কোবালমিনসহ একাধিক ভিটামিন ও খনিজ।
প্রতিদিন সকালে একটি করে ফুল সিদ্ধ ডিম খেলে শরীরে এনার্জি আসবে। হজম শক্তি
বৃদ্ধি পাবে। যারা ডায়েট করেন প্রতিদিন সকালে ৩-৪ টি ডিম খেতে পারেন। যারা জিম
করে তারা পেশি গঠনের জন্য কুসুম ছাড়া ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে আপনার
মাংসপেশী গঠন হবে এবং সকালের ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন। তাহলে
চলুন ডিমের পুষ্টিগুণ বর্ণনা করি।
প্রোটিন
ডিমকে উচ্চ-মানের প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটি বড় ডিমে প্রায় ৬-৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন মানবদেহের মাংসপেশি গঠন, শরীরের কোষ মেরামত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং হরমোন ও এনজাইম উৎপাদনে সহায়ক। এতে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ৯টি অ্যামিনো অ্যাসিডই বিদ্যমান।
ভিটামিন
- ভিটামিন Aঃ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- ভিটামিন বি১২ (কোবালামিন)ঃরক্তকণিকা তৈরি ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এটি শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
- ভিটামিন ডিঃ এটি হাড় ও দাঁতের মজবুতির জন্য ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে।
- ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন), ্বি৫ (প্যানটোথেনিক অ্যাসিড), বি৬ এবং ফোলেট (বি৯)।
- ভিটামিন ইঃএটি একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে রোগ প্রতিরোধের শক্তি যোগায়।
খনিজ
- সেলেনিয়ামঃ এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- ফসফরাসঃহাড়ের স্বাস্থ্য এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়।
- আয়রনঃরক্তস্বল্পতা দূর করে এবং কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
- জিঙ্কঃরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ক্ষত নিরাময়ের জন্য জরুরি।
ফ্যাট
একটি বড় ডিমে প্রায় ৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে। তবে এর মধ্যে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এর মাত্রা কম এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) এর মাত্রা ৩.৫ থাকে। বর্তমানে অনেক ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও যুক্ত করা হয়, যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ফুল সিদ্ধ ডিম নাকি হাফ সিদ্ধ ডিম খাচ্ছেন
ডিম পুরোপুরি সিদ্ধ করলে সালমোনেলা নামক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এই ব্যাকটেরিয়া খাদ্য বিষক্রিয়া, বমি এবং ডায়রিয়ার মতো গুরুতর পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। ফুল সিদ্ধ ডিমে সেই ঝুঁকি থাকে না।কাঁচা বা অর্ধ-সিদ্ধ ডিমে এভিডিন নামে একটি প্রোটিন থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন বায়োটিন (ভিটামিন বি৭) শোষণ করতে বাধা দেয়। ডিম পুরোপুরি সিদ্ধ করলে এভিডিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং বায়োটিন শোষণে কোনো সমস্যা হয় না।
আরো পড়ুনঃভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ডিম হাফ সেদ্ধ বা হাফ বয়েল খাওয়ার ঝুঁকি হলো সালমোনেলা সংক্রমণ। ডিমের সাদা অংশ শক্ত হয়ে গেলেও কুসুম নরম বা তরল থাকলে ব্যাকটেরিয়া থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়। উপরে বলা হয়েছে, অর্ধ-সিদ্ধ ডিমে থাকা এভিডিন বায়োটিন শোষণে বাধা দিতে পারে, যা ত্বক ও চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাদ বা অভ্যাসের কারণে অনেকে হাফ বয়েল ডিম পছন্দ করলেও, স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা এবং সর্বোচ্চ পুষ্টি পেতে ফুল সিদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত।
বাচ্চাদের হাফ সিদ্ধ ডিম খাওয়ানো যাবে কি?
বাচ্চাদের হাফ সিদ্ধ ডিম খাওয়ানো যাবে কিনা? এটা যদি আপনার প্রশ্ন হয় তাহলে আমার উত্তর হবে, না।বাচ্চাদের হাফ সিদ্ধ বা হাফ বয়েল ডিম একেবারেই খাওয়ানো উচিত নয়। কারণ,শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় দুর্বল থাকে। তাই তাদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, ডিমে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা বাচ্চাদের শরীরে ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
বাচ্চাদের দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত
বাচ্চাদের দৈনিক ডিম খাওয়ার পরিমাণ তাদের বয়স, শারীরিক কার্যকলাপ এবং সামগ্রিক খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে। তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মতে, সুস্থ ও স্বাভাবিক ওজনের বাচ্চাদের জন্য প্রতিদিন ১ থেকে ২ টি ডিম খাওয়া নিরাপদ এবং অত্যন্ত উপকারী।ডিম প্রোটিন, ভিটামিন (বিশেষ করে কোলিন ও ভিটামিন ডি) এবং খনিজ পদার্থের একটি চমৎকার উৎস, যা শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের বিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অপরিহার্য।
কাঁচা ডিম খেলে কি হয়
কাঁচা ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয় এবং এতে বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকতে পারে। রান্না করা ডিমের তুলনায় কাঁচা ডিমের পুষ্টিগুণও শরীর সম্পূর্ণরূপে শোষণ করতে পারে না। আবার অর্ধ কাচা ডিম বা হাফ বয়েল ডিমও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কাঁচা ডিম এবং অর্ধ কাচা ডিম অথবা হাফ বয়েল ডিমে সেলমোনিলা নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া পেটে গিয়ে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
সালমোনেলা সংক্রমণে সাধারণত ডায়রিয়া, জ্বর, বমি, পেটে ব্যথা এবং পেট খারাপ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ গুরুতর হতে পারে, বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য।
কাঁচা ডিমের প্রোটিন (বিশেষ করে সাদা অংশের অ্যালবুমিন) রান্না করা ডিমের মতো সহজে হজম হয় না। ডিমের সাদা অংশে পরিপাক-বিরোধী ক্ষমতা থাকে, যা উত্তাপে নষ্ট হয়ে যায়।রান্না করা ডিমের তুলনায় কাঁচা ডিম থেকে শরীর কম প্রোটিন শোষণ করতে পারে। তাই কাঁচা ডিম খেলে আপনি এর সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
কাঁচা ডিমের কারণে অনেকেরই গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং হজম সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কাঁচা ডিম বা হাফ সিদ্ধ ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
দিনে কতগুলো ডিম খাওয়া যাবে?
দিনে কতগুলো ডিম খাওয়া যাবে, তা মূলত আপনার শারীরিক অবস্থা, বয়স, জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে। ডিমকে পুষ্টির পাওয়ারহাউস বলা হলেও, সব কিছুর মতোই পরিমিতি বজায় রাখা জরুরি। ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বলেই যে আপনি মাত্রারিক্ত খাবেন তাহলে কিন্তু আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে। তাই, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি ডিমের চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃসকালে খালি পেটে কিসমিস ভেজানো জল খেলে কি হয়
সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা দিনে ১-২ টি ডিম খেতে পারেন। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়াকে বেশিরভাগ চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদ নিরাপদ এবং উপকারী মনে করেন।যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা পেশী গঠনের চেষ্টা করছেন, তারা দিনে ৩ টি পর্যন্ত ডিম খেতে পারেন।খুব বেশি কায়িক পরিশ্রম বা শরীরচর্চা না করেন বা খুব বেশি গরমে, দিনে দুটোর বেশি ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রতিদিন সকালে সেদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
ডিম আমাদের প্রায় সকলের প্রিয় একটি খাবার। এই ডিমের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন। শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি হাড় শক্ত ও মেধার বিকাশের জন্য ডিম খুবই কার্যকর। এছাড়াও ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ
যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে আর কুসুমে থাকা ভিটামিন ডি হাড়ের জন্য ভালো। সকালে একটি সিদ্ধ ডিম খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে ডিম খাওয়ার উপকারিতা গুলো-
ওজন কমাতেঃ ডিম উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন একটি খাবার। তাই সিদ্ধ ডিম খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে, যার ফলে বারবার খাওয়ার চাহিদা হয় না। এতে করে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কমে। এর ফলে ডিম খেলে ওজন কমে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেঃডিম হচ্ছে ভিটামিন এ এর ভালো একটি উৎস। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়ঃনিয়মিত সকালে সিদ্ধ ডিম খেলে শরীরে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বেড়ে যায়, যেটা ভালো কোলেস্টেরল নামেও পরিচিত। যাদের এইচ ডি এল এর মাত্রা বেশি তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমে।
কাজের শক্তি বাড়ায়ঃ ডিম এনার্জির একটা ভালো উৎস। ডিমে থাকা ভিটামিন থেকে শরীরে শক্তি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন সকালে একটি সিদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন শরীরে এনার্জি থাকবে।
হাঁসের ডিম নাকি মুরগির ডিম কোনটি উপকারী
হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় কম প্রচলিত হলেও এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি স্বাদে গাঢ় এবং আকারে বড় হয়।হাঁসের প্রতি ডিমে প্রায় ৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি। এর ফলে এটি শরীরের কোষ ও পেশী পুনর্গঠনে আরও কার্যকর।হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি (৬২০ মিলিগ্রাম), যা মুরগির ডিমের চেয়ে প্রায় তিনগুণ।
যাদের বেশি পুষ্টি বা প্রোটিন প্রয়োজন তারা হাঁসের ডিম খেতে পারেন। যারা অনেক
পরিশ্রম করেন তাদের জন্য হাঁসের ডিম বেস্ট। যারা ওজন কমাতে চান বা ডায়েটে আছেন
তারা হাঁসের ডিম না খেয়ে মুরগির ডিম খান। কারণ মুরগির ডিমে কম ক্যালোরি ও চর্বি
সরবরাহ করে। আবার যাদের হৃদরোগের সমস্যা আছে তারা হাঁসের ডিম এড়িয়ে চলুন। কারণ
হাঁসের ডিমে অধিক পরিমাণ কোলেস্টেরল রয়েছে। তবে মুরগির ডিমও হৃদরোগ রোগীদের জন্য
পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডিমের কুসুম খাওয়া নিয়ে সমস্যা
অনেকেই ডিমের কুসুমের ফ্যাট নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন। এতে কোনো সমস্যা নয় বরং শরীরে ফ্যাটের চাহিদা পূর্ণ হয়। তবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি থাকলে ডিমের কুসুম না খাওয়াটাই উত্তম। এ সমস্যা না থাকলে যে কেউ ডিমের কুসুম নির্দ্বিধায় খেতে পারেন
লেখকের মন্তব্যঃহাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা
লেখক হিসেবে আমার মন্তব্য হলো, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার দিক থেকে 'হাফ বয়েল' ডিমের কোনো উল্লেখযোগ্য উপকারিতা নেই। বরং, এতে কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকতে পারে।যদিও হাফ বয়েল ডিমের কুসুমের নরম এবং ক্রিমি ভাব অনেকের কাছে মুখরোচক মনে হতে পারে, পুষ্টিবিদ এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাধারণত এটিকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারছেন হাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করব আজকের পর থেকে আর কেউ হাফ বয়েল ডিম খাবেন না। এই পোস্টটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে পরিবারের সাথে শেয়ার করবেন। আপনার আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। পোস্টটির ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।



ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url