ওয়াটার হিটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ দাম এবং মডেলসমুহ
ওয়াটার হিটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ওয়াটার হিটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ এবং কেন ওয়াটার হিটার ব্যবহার করবেন এই সম্পর্কে।
সামনে আসছে শীতকাল। শীতকালে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা অনেকের জন্য কষ্টকর হয়। তাই বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির এবং বিভিন্ন মডেলের ওয়াটার হিটার পাওয়া যায়। যা আপনাদের শীতকাল কাটবে অনেক স্বাচ্ছন্দে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ওয়াটার হিটারের সব ডিটেলস তুলে ধরার চেষ্টা করব।পোস্ট সূচীপত্রঃওয়াটার হিটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ
- ওয়াটার হিটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ওয়াটার হিটারের মডেল এবং দাম
- ওয়াটার হিটারের পোর্টেবল ওয়াটার হিটার বা ইমারশন ওয়াটার হিটার
- ওয়াটার হিটারের প্লাস্টিক জগ
- ওয়াটার হিটারের ইলেকট্রিক কেটলি বা স্টিলের জগ
- ওয়াটার হিটার ব্যবহার করার নিয়ম
- ওয়াটার হিটার কেন ব্যবহার করবেন
- ওয়াটার হিটার ব্যবহারের সুবিধা
- ওয়াটার হিটার ব্যবহারের অসুবিধা
- শেষ কথাঃ ওয়াটার হিটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ
ওয়াটার হিটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ
আসছে শীতকাল আবহাওয়া যেমন ঠান্ডা হবে ঠিক তেমনি পানিও ঠান্ডা হবে। অনেকের আবার ঠান্ডা পানি পান করতে এবং গোসল করতে অনেক কষ্ট হয়। এসব কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন কোম্পানি বাজারে নিয়ে এসেছে পানি গরম করার ডিভাইস। যাকে ওয়াটার হিটার বা পানি গরম করার জগ নামে আমরা চিনি। ওয়াটার হিটার বা পানি গরম করার জগ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের ওয়াটার হিটার হয়।
পরিবারের প্রয়োজন অনুসারে আপনি আপনার পছন্দের ওয়াটার হিটার কিনতে পারেন।
ওয়াটার হিটার শুধু যে পানি গরম করার কাজে ব্যবহৃত হয় তা কিন্তু না, বিভিন্ন
কাজে ওয়াটার হিটার ব্যবহৃত হয়। ধরুন শীতকালের সন্ধ্যাবেলায় একটু চা খাইতে
ইচ্ছে করছে তাহলে আপনি ওয়াটার হিটারে পানি গরম করে চা,কফি বানিয়ে খেতে পারবেন।
এতে আপনার সময় এবং পরিশ্রম দুটোই বাঁচবে।
তাছাড়া আপনার পরিবারের সদস্যেরা সকালে অথবা সন্ধ্যায় ডিম সিদ্ধ খেতে চায়
তাহলে আপনি ওয়াটার হিটার ব্যবহার করে সেটি করতে পারবেন। খুব অল্প সময়ে কাজ হয়ে
যায়। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা থাকলে তাদের জন্য ওয়াটার হিটার লাগেই। মানুষের
ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ওয়াটার হিটার এখন একটি প্রয়োজনীয় জিনিসে পরিণত
হয়েছে।
বাজারে বিভিন্ন ওয়াটার হিটারের সাইজ ও মডেল অনুযায়ী দামের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ছোট হিটারগুলো ছোট কাজে ব্যবহৃত হয় এবং বড় হিটারগুলো বড় বড় কাজে ব্যবহৃত হয়। ছোট হিটারগুলোতে পানি গরম হতে তুলনামূলক বেশি সময় নেই, কিন্তু বড় হিটলারগুলোতে সময় অনেক কম লাগে পানি গরম হতে। তাই কাজের ধরন অনুযায়ী ওয়াটার হিটার ক্রয় করুন।
বাংলাদেশ ওয়াটার হিটারের মডেল এবং দাম
বাংলাদেশের ওয়াটার হিটারের মডেল এবং দাম ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ওয়াটার
হিটারের মধ্যে রয়েছে গিজার, ইলেকট্রিক জগ, এবং তারের ওয়াটার হিটার।
ইলেকট্রিক জগ গুলার মধ্যে রয়েছে দুই ভাগে ভাগ। একটা
হচ্ছে ব্র্যান্ডের জগ অন্যটি হচ্ছে নন ব্র্যান্ড।
ওয়াটার হিটারের পোর্টেবল ওয়াটার হিটার বা ইমারশন ওয়াটার হিটার
গ্রহণযোগ্য এবং দামের সস্তা ও হওয়ার জন্য পোর্টেবল ওয়াটার হিটার প্রচুর ব্যবহার হয়। এই ওয়াটার হিটার সঠিকভাবে এবং নিরাপদে ব্যবহার করা যায় যা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। পোর্টেবল ওয়াটার হিটার কোন থার্মোসিস্ট নাই অর্থাৎ অটোমেটিক ভাবে পাওয়ার সাপ্লাই বাটন নাই। গিজারে যেমন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত পাওয়ার সাপ্লাই চালু থাক।
আরো পড়ুনঃ ওয়ালটন এসির দাম কত? বিস্তারিত জানুন
ওয়াটার হিটারের প্লাস্টিক জগ
ইলেকট্রিক জগ মূলত দুই ধরনের। একটা হল স্টিলের জগ বা ইলেকট্রিক কেটলি অন্যটি হলো প্লাস্টিকের জগ। স্টিলের জগ বা ইলেকট্রিক কেটলির দাম কোয়ালিটি অনুযায়ী হয়। যত কোয়ালিটি ভালো তত দাম বেশি। তাই যাদের বাজেট কম তারা প্লাস্টিকের জগ ব্যবহার করতে পারেন। প্লাস্টিকের জগের মধ্যে ব্র্যান্ড এবং নন ব্র্যান্ড দুটো রয়েছে।
ব্র্যান্ডের দাম টা একটু বেশি নন ব্র্যান্ডের তুলনায়। প্লাস্টিকের জগের মধ্যে
আপনি শুধু পানি গরম করতে পারবেন। দুধ গরম করা যাবে না। প্লাস্টিকের জগ ২
লিটার দাম মাত্র ২৫০ টাকা। ব্র্যান্ডের বলতে আরএফএল এর প্লাস্টিক জগের ১.৮
লিটারের দাম ৩৫০ টাকা। ২.৫ দাম ৪০০ টাকা। ১ লিটারের দাম ২৪০ টাকা।
ওয়াটার হিটারের ইলেকট্রিক কেটলি বা স্টিলের জগ
ঠান্ডার সময় ইলেকট্রিক কেটলি বা জগ লাগেই চা, কফি, দুধ কিংবা ডিম সিদ্ধ করতে। অনেক দোকানে দেখা যায় ইলেকট্রিক কেটলি ব্যবহার করে চা বানিয়ে বিক্রি করা হয়। ইলেকট্রিক কেটলি বা স্টিলের জগে পানি গরম করা নিরাপদ। বাজারে অনেক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানির ইলেকট্রিক জগ রয়েছে।
ইলেকট্রিক কেটলি গুলো অটোমেটিক সিস্টেমে পাওয়া যায়। যা পানি গরম হয়ে গেলে অফ হয়ে যায়। ১ লিটার ইলেকট্রিক দাম ১২০০ টাকা।১.৮ লিটার কেটলি দাম ১৩২০ টাকা। এগুলা সার্ভিস এবং ওয়ারেন্টি প্রায় এক বছরের দিয়ে থাকে। তাই আপনার প্রয়োজন অনুসারে ইলেকট্রিক কেটলি কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়াটার হিটার ব্যবহার করার নিয়ম
শীত আসলেই ওয়াটার হিটার বা পানি গরম করার ডিভাইস গুলো বেশি ব্যবহার হয়। পানি গরম করে খাওয়া থেকে শুরু করে গোসল পর্যন্ত করা হয় এই ডিভাইস গুলো ব্যবহার করা হয়। দেখা যায় অনেক সময় ওয়াটার হিটার ব্যবহার করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। আবার শোনা যায় পানি গরম করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শক খেয়ে মানুষ মারা যায়। বিশেষ করে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে পোর্টেবল ওয়াটার হিটার বা ইমারশন ওয়াটার হিটার দিয়ে।
ওয়াটার হিটার ব্যবহার করার কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়ম গুলো মেনে পানি গরম করলে
দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। প্লাস্টিকের ইলেকট্রিক জব অথবা ইলেকট্রিক কেটলি ব্যবহারে
দুর্ঘটনা কম হয়। তাই পরিবারের সুরক্ষার চিন্তা করে আপনি প্রোর্টেবল ওয়াটার
হিটার অথবা ইমোশন ওয়াটার হিটার ব্যবহার করা দিতে পারেন। তাহলে চলুন ওয়াটার
হিটার ব্যবহার করা নিয়ম গুলো জেনে নিন-
পুরনো ওয়াটার হিটার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। দেখা যাচ্ছে একটা ওয়াটার হিটার ২-৩ বছর ব্যবহার করার পর ইমারশন ওয়াটার এর পাত গুলো জং ধরে নষ্ট হয়ে যায় এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মনে রাখা উচিত সবকিছুরই জীবনকাল থাকে।
ইমারশন ওয়াটার হিটার দিয়ে পানি গরম করার ক্ষেত্রে রডটি পানি ভর্তি বালতির
ভিতরে দিয়ে নড়াচড়া করা যাবে না। এবং খেয়াল রাখতে হবে যে প্লাস্টিকের গায়ে
লেগে না থাকে। আবার পানি ভর্তি বালতিতে রড ডুবিয়ে দেওয়ার পর সুইচ অন করতে
হবে।
আরো পড়ুনঃ ২০০০ টাকার মধ্যে রাউটার । সেরা ২০ টি রাউটার
পানি গরম হয়ে গেলে সুইচ বন্ধ করে তারপর পানি চেক করবেন। সুইচ অন
থাকা অবস্থায় স্টিলের চামচ বা হাত দিয়ে চেক করতে যাবেন না, এতে
বৈদ্যুতিক শক লাগবে। মনে রাখবেন সুইচ অন থাকা অবস্থায় অতিরিক্ত পানি মগের
ঢালবেন না বা তুলবেন না।
ইমারশন ওয়াটার হিটার লোহার বালতি বা মগে ব্যবহার করবেন না।ইমারশন ওয়াটার হিটার প্লাস্টিকের বালতিতে ব্যবহার করবেন। এতে খেয়াল রাখবেন পানি অতিরিক্ত গরম হলে আবার বালতি গলে যেতে পারে তাই বারবার খেয়াল রাখতে হবে।
দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ইমারশন ওয়াটার হিটার ব্যবহারের ফলে রডে সাদা আস্তরন পরে। এতে পানি দেরিতে গরম হয় যা বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসে। ওয়াটার হিটার ব্যবহার করার সময় বাচ্চাদের নাগালের বাইরে ব্যবহার করুন।
ওয়াটার হিটার কেন ব্যবহার করবেন
আপনার সময় বাঁচাতে এবং ঠান্ডা হাত থেকে রক্ষা পেতে ওয়াটার হিটার ব্যবহার করতে
পারেন। শীতের সময় অনেকেই ঠান্ডা পানি খেতে বা বাড়ির অন্যান্য কাজ করতে
সমস্যা হয়। তাই ওয়াটার হিটার ব্যবহার করে গরম পানি করে কাজ করলে অনেক ভালো
লাগে। অনেকে ঠান্ডা পানিতে হাতে এলার্জি হয় তা ইলেকট্রিক ডিভাইস
ব্যবহার করে পানি গরম করে কাজ করলে এরকম সমস্যা হয় না।
বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা থাকলে ঠান্ডার সময় তারা ঠান্ডা সহ্য করতে পারেনা। অনেক
সময় দেখা যায় ঠান্ডার ভয়ে দুই তিন দিন গোসল করে না, চুলায় পানি গরম করতে গেলে
ঝামেলা হয়। যদি ঘরে হিটার থাকে তাহলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পানি গরম করে কাজ করতে
পারবেন।
শীতের সময় আর যাই হোক চা খাওয়ার পরিমাণটা বেড়েই যায়। তাই বারবার চুলার পাড়ে না গিয়ে সময় সাশ্রয় করে ওয়াটার হিটার বা ইলেকট্রিক কেটলি দিয়ে ইনস্ট্যান্ট চা-কফি, ডিম সিদ্ধ এবং দুধ গরম করা যায়। ওয়াটার হিটার ব্যবহার করলে সময় সাশ্রয় হয়।
ওয়াটার হিটার ব্যবহারের সুবিধা
ওয়াটার হিটার ব্যবহার করলে নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। তাহলে চলুন সুবিধা গুলো
জানি-
- ওয়াটার হিটার ব্যবহার করে পানি গরম করলে সময় সাশ্রয় হয়
- ওয়াটার হিটারে পানি গরম করলে চুলার তুলনায় তাড়াতাড়ি গরম হয়।
- ইনস্ট্যান্ট গরম পানি পাওয়া যায়
- বারবার ব্যবহার করে পানি গরম করা যায়
- ওয়াটার হিটার ব্যবহার করলে সামান্য চা কফি করতে চুলার পারে যাওয়া লাগে না ঘরে বসেই অল্প সময়ে করা যায়
ওয়াটার হিটার ব্যবহারের অসুবিধা
সুবিধার পাশাপাশি ওয়াটার হিটার ব্যবহারের কিছু অসুবিধা রয়েছে। তাহলে চলুন অসুবিধা গুলো জেনে নিই-
- বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার সম্ভাবনা থাকে
- বৈদ্যুতিক শক লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে
- অনেক সময় ইমারশন ওয়াটার হিটার ব্যবহার করে পানি নিয়ে যাওয়ার সময় গরম পানি গায়ে পড়তে পারে
- শিশুদের নাগালে বাহিরে না রাখলে দুর্ঘটনা ঘটতে
- দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে প্লাস্টিক গলে যেতে পারে
- পানি গরম অবস্থায় হাত দিয়ে চেক করা বা স্টিলের চামচ দিয়ে চেক করা যায় না
শেষ কথাঃ ওয়াটার হিটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,আজকে আর্টিকেলটি ওয়াটার হিটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে
আলোচনা করা হয়েছে। আজকের পোস্টটি পড়ে জানতে পেরেছেন ওয়াটার হিটারের বিভিন্ন
বিষয়াদি। আশাকরি পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের
প্রয়োজনীয় ওয়াটার হিটার ক্রয় করতে পারবেন।
শুধু ওয়াটার হিটার নয় যেকোন ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করার আগে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্নার কারণ হতে পারে। সেই জন্য সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করবেন। পোস্টটি ধৈর্য সহকারে করার জন্য ধন্যবাদ। কোন মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।

ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url