কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় জানুন

 কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের আর্টিকেলে কুকুর কামড়ালে কতদিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় এবং কুকুর কামড়ালে কেন জলাতঙ্ক রোগ হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কুকুর-কামড়ালে-কত-দিনের-মধ্যে-জলাতঙ্ক-হয়কুকুর একটি গৃহপালিত প্রাণী। শখের বসে অনেকেই আমরা কুকুর লালিত-পালিত করি। সেই কুকুর থেকেই হতে পারে প্রাণ নাশের কারণ। কুকুর কামড়ালে কতদিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় জানতে পুরো পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।

পোস্ট সূচীপত্রঃকুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় 

কুকুরের একটি গৃহপালিত প্রাণী হলেও রাস্তাঘাটে আমরা হার হামেশা দেখতে পাই। অনেক সময় দেখা যায় কুকুর কামড়ানো বা আঁচড় দেওয়ার সিচুয়েশন তৈরি করে। কুকুর কামড়ানো বা আচড়ানোর পর জলাতঙ্ক ইনকিউবেশন পিরিয়ড কয়েক সপ্তাহ বা ৩ মাস পর্যন্ত হতে পারে। জলাতঙ্কের লক্ষণগুলো হলো পানি দেখে ভয় পাওয়া বা পানি গিলতে সমস্যা হয়, বাতাস দেখলে ভয় পায় এবং মানুষকে কামড়ানোর মতো প্রবণতা দেখা দেয়।

কুকুর অনেকের কাছে পছন্দের প্রাণী। কারণ কুকুরের স্বভাবগত বিশেষ করে প্রভু ভক্তের বৈশিষ্ট্যের জন্য অনেকের কাছে কুকুর প্রিয় প্রাণী। কিন্তু আপনার এই প্রিয় গৃহপালিত প্রাণী থেকেই হতে পারে মরণব্যাধি জলাতঙ্ক রোগ। জলাতঙ্ক রোগ সাধারণত ‍ র‍্যাবিস ভাইরাস থেকে হয়। কুকুরের কামড়ে রাবিস ভাইরাস থাকে যা জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি করে। সাধারণত কুকুর কামড়ানোর পর জলাতঙ্কের পাদুর্ভাব দেখাতে এক বছর সময় লাগে। কিন্তু

সাধারণত এটি সময় ধরা হয়েছে তিন মাস। অনেক সময় ইনকিউবেশন পিরিয়ড ক্ষতস্থান কোথায় তার ওপর নির্ভর করে। কুকুরের কামড় বা আঁচড় ঘাড় বা মাথার কাছাকাছি হয় তাহলে ইনকিউবেশন পিরিয়ড কমবে। যত স্নায়ুতন্ত্রের কাছাকাছি কুকুরের কামড় বা আঁচড় থাকবে ইনকিউবেশন পিরিয়ড ততো  বা হ্রাস-বৃদ্ধি পাবে। জলাতঙ্ক হলে আর সময়মতো ভ্যাকসিন গ্রহণ না করলে মৃত্যু ১০০% নিশ্চিত।

কুকুর কামড়ালে কেন জলাতঙ্ক রোগ হয়

কোন কুকুর যদি র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে ওই কুকুরের কামড়ে বা আঁচড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়। শুধু কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয় না, বিড়াল, বেজি, বাদুড় এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের কামড় বা আঁচড়েও জলাতঙ্ক হতে পারে। জলাতঙ্ক একটি ভাইরাস জনিত রোগ। যা মস্তিষ্ক বা স্নায়ু তন্ত্রকে প্রভাবিত করে। ভাইরাসটি ক্ষতস্থান থেকে মস্তিষ্কে যায়, এবং এটি ক্ষতস্থানে ফোলা এবং ব্যাথা সৃষ্টি করে।

আরও পড়ুনঃ অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা

যা আস্তে আস্তে জলাতঙ্ক দেখা দেয়।র‍্যাবিস ভাইরাসে কোন প্রাণী যদি ক্ষতস্থান চাটে তাহলে তার লালার মাধ্যমে অন্য প্রাণী বা মানুষের মধ্যে র‍্যাবিস ভাইরাস ট্রান্সফার হয়। জলাতঙ্কের রোগের বেশি ভাগ ১৫ বছরের নিচে শিশুদের আক্রান্ত হতে দেখা যায়। ৪০% জলাতঙ্ক রোগে মারা যায় ১৫ বছরের নিজের শিশুরা।

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়

কুকুর কামড়ালে কতদিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় তা নির্ভর করে ক্ষতস্থানটি কোথায়। ক্ষতস্থান যদি স্নায়ুতন্ত্রের আশেপাশে হয় তাহলে কামড়ানো বা আচড়ানো সাথে সাথে টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করতে হবে। আর ক্ষতস্থান যদি পায়ে হয় তাহলে ১ সপ্তাহ দেখতে পারেন। যদি কুকুরটিকে সনাক্ত করতে পারেন তাহলে ১০ দিন কুকুরটিকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে কুকুরটি অসুস্থ হচ্ছে কিনা।

যদি কুকুরটা অসুস্থ না হয় তাহলে র‍্যাবিস আক্রান্ত কুকুর নয়। টিকা না নিলেও চলবে তবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ নিন। কামড়ানোর পর কুকুরটি যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। বিড়াল, বেজি, বাদুড় সব প্রাণীর ক্ষেত্রেও সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।

সব কুকুর কামড় দিলে কি জলাতঙ্ক রোগ হয়

সব কুকুর কামড় দিলে জলাতঙ্ক রোগ হয় না। যদি কুকুরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয় আর সেই কুকুর যদি কামড় দেয় তাহলে জলাতঙ্ক রোগ হয় না। কিন্তু যদি কুকুরকে ভ্যাকসিন বা কোন টিকা দেওয়ার না থাকে আর সেই কুকুর কামড় বা আঁচড় দিলে জলাতঙ্ক রোগের পার্দ্রুভাব দেখা দেয়।

তাছাড়া যদি কামড় দেওয়া কুকুর সনাক্ত বা চিহ্নিত করতে সমস্যা হয় তাহলে ভ্যাকসিন বা টিকা দিতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে। কামড় বা আঁচড় লাগলে ক্ষতস্থানটি দ্রুত সাবান পানি দিয়ে ধৌত করুন । আর এমন সাবান নিবেন যে সাবানে ক্ষার বেশি। কাপড় কাচার সাবান বা ডিটারজেন্ট পাউডার এগুলোতে ক্ষার বেশি। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির ঢালুন, কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করতে হবে।

কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ

ক্ষতের ওপর ভিত্তি করে জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ দেখা যায়। যদি ক্ষত স্নায়ুতন্ত্রের আশেপাশে হয় তাহলে জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ তাড়াতাড়ি দেখা দেয়। আর পায়ে বা হাতে কামড়ের ক্ষত হয় তাহলে জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ দেখা দিতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় যেগুলো লক্ষণ দেখা দেয় তাহলো-

  • জ্বর 
  • মাথা ব্যথা
  • শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া
  • কামড়ের ক্ষতস্থানে ঝাঁকুনি বা ব্যথা
  • অতিরিক্ত লালাঝরা 
  • গিলতে সমস্যা হওয়া
  • পানি দেখে ভয়
  • বাতাস থেকে ভয়
  • উদ্বেগ বা বিভ্রান্তি
  • হৃদরোগ সংক্রমণ
  • পক্ষাঘাত হওয়া

কুকুরে কামড় দেওয়ার পর অল্প সময়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন না হলে জলাতঙ্ক রোগ জটিল আকার ধারণ করে। যা পরবর্তীতে প্রাণহানি ঘটে। তাই দেরি না করে কুকুরের কামড় বা আচড় দেওয়ার 24 থেকে 48 ঘণ্টার মধ্যে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিন।

কুকুর কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়

আপনাকে যদি কুকুরে কামড়ায় তাহলে অতি শীঘ্রই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আর যদি কোন কাজে ব্যস্ত থাকে ডাক্তারের কাছে যেতে না পারেন তাহলে যেগুলো জেনে রাখা ভালো সেগুলো হলো ২৪-৪৮ মধ্যে চিকিৎসা নিলে কার্যকর হবে। কুকুর কামড়ানোর 72 ঘন্টা পার হয়ে গেলে জটিলতা বেড়ে যেতে পারে, যদি দেখেন সংক্রমণগুলো কেমন ক্ষতস্থানে ফোলা ভাব, স্রাব এবং ব্যথা অনুভব করেন।

কুকুর কামড়ানোর পর যদি আপনার শরীরে জ্বর আসে, কত স্থানের কাছে ঝিন ঝিন করে, এবং শরীরের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু হলে এড়িয়ে যাবেন না। ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। আর আপনি যদি ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়া শুরু করেন আর কোন কারনে ডোজ মিস যায় তাহলে করনীয় হল

আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কালোকেশি পাতার ব্যবহার

আপনি যদি ডোজ মিস করেন তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন পুনরায় আবার ডোজ নেওয়া শুরু করতে হবে কিনা। আপনাকে যদি কখনো হিউম্যান রাবিস ইমিউন গ্লোবিউলিন সহ কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা দেওয়া হলে তা কখনো এড়িয়ে যাবেন না।

কামড়ে তীব্রতা, টিকাদানের ইতিহাস এবং কুকুরের স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়-

অ্যান্টি রাবিশ ভ্যাকসিনঃ এটি একাধিক মাত্রায় প্রয়োগের প্রধান কারণ প্রতিরোধক মূলক টিকা এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জলাতঙ্ক ভাইরাস ক্ষতি করার আগেই লড়াই করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

হিউম্যান রাবিশ ইমিউন গ্লোবিউলিইঃ রোগী যদি পূর্বে কোন জলাতঙ্কের টিকা না পেয়ে থাকে তাহলে এটা স্বল্প মেয়াদী সুরক্ষা প্রদান করে।

টিটেনাস টক্সয়েডঃ পূর্বে কোন টিটেনাস টক্সয়েড দেওয়া না থাকলে, কুকুর কামড়ানোর পরে ক্ষত নোংরা বা ইনফেকশন হয়ে যায় তাহলে টিটেনাস টক্সয়েড টিকা দিতে হয়।

জলাতঙ্কের টিকা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী দিতে হয়ঃ তা হল-

  • প্রথম দিনঃ প্রথম ডোজ, কামড়ের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রথম ডোজটি গ্রহণ করতে হবে
  •   তৃতীয় দিনঃ দ্বিতীয় ডোজ
  • সপ্তম দিনঃ তৃতীয় ডোজ
  • ১৪ তম দিনঃ চতুর্থ ডোজ
  • ২৮তম দিনঃ পঞ্চম ডোজ(ক্ষেত্র বিশেষে)

কুকুরে কামড় দিলে কি কি খাওয়া যাবে না 

বৈজ্ঞানিক কোন প্রমাণ নাই যে কুকুরে কামড় দিলে কোন খাবার বাদ দিতে হবে। তবে ক্ষত নিরাময়ের জন্য সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত। অনেকের শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হলে সহজে ক্ষত নিরাময় হতে চায় না। তাদের ক্ষেত্রে মিষ্টি জাতীয়, অ্যালকোহল জাতীয়, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ না করায় ভালো। তবে শরীরে তাড়াতাড়ি ক্ষত নিরাময় হয় তাদের জন্য কোন খাবারে নিষিদ্ধ নয়।

আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরা চাষের জন্য মাটির বৈশিষ্ট্য সেরা ১০টি কোশল

আগের যুগে মানুষ বলতো কুকুরের কামড় দিলে নাকি কোন তরকারি খাওয়া যাবেনা। শুধু লবণ দিয়ে সাদা ভাত খেতে হবে ৫ থেকে ৭ দিন। বর্তমানে এমন অনেক গ্রাম আছে সেগুলোতে আগেরকার রীতি মানা হয়। অনেকে আবার পুকুরে কামড় দিলে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে কবিরাজের কাছে দৌড়ায়। এইসব কুসংস্কারপূর্ণ সংস্কৃতি মেনে চলত আগের যুগের মানুষ। তাই কুকুর কামড়ালে স্পেসিফিক ভাবে কোন খাবার নিষিদ্ধ নয়।

কুকুরে কামড়ানো পশুর মাংস কি খাওয়া যাবে

কুকুরে কামড়ানো পশুর মাংস খাওয়া যেতে পারে, যদি কুকুরের কামড়ে বিষক্রিয়া না হয়।তবে অনেক সময় দেখা যায় কুকুরের কামড়ে বিষক্রিয়া হয়ে পশু মারা যাচ্ছে সেই সময় জবেহ করলে বা মাংস খেলে মানুষের শরীরেও বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কুকুরের কামড়ানো পশুর মাংস তখনই খাওয়া যাবে যখন দেখবেন কুকুরের কামড়ানোর পরে ভ্যাকসিন বা টিকা দিয়ে র‍্যাবিস ভাইরাসটিকে নির্মূল করে খাওয়া যাবে।

কুকুরে কামড়ানো পশুর মধ্যে পড়ে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি ইত্যাদি। তবে মনে রাখতে হবে মানুষ হোক বা অন্য পশু প্রাণী হোক কুকুরে কামড়ানোর সাথে সাথেই প্রতিষেধক মূলক অ্যান্টিভাইরাস দিতে হবে। জলাতঙ্ক রোগ বা র‍্যাবিস ভাইরাস সবার ক্ষেত্রে সমান বিপদজনক। তাই কোন কিছু মাথায় না নিয়ে এসে প্রথমে চিকিৎসা করতে হবে।

কুকুরের কামড়কে কখনোই উপেক্ষা করবেন না

কুকুরের কামড় কে কখনো উপেক্ষা করা উচিত নয়। কারণ সামান্য ক্ষতই জীবন কেড়ে নিতে পারে। সেটা মানুষ হোক বা অন্য কোন প্রাণী হোক, সবার ক্ষেত্রেই কুকুরের কামড় বিপদজনক। ক্ষত ছোট হলেও কুকুরের কামড় জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। কুকুরের মুখের ব্যাকটেরিয়া কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে। যতক্ষণ না চিকিৎসা নিবেন কতক্ষণ পর্যন্ত কুকুরের কামড়কে ছোট করে দেখা উচিত নয়।

শেষ কথাঃ কুকুরের কামড়কে কখনোই উপেক্ষা করবেন না

কুকুরের কামড়ের ক্ষত ছোটখাটো হলেও এর ক্ষতি ভয়াবহ হতে পারে। জলাতঙ্ক বলা হয় মূলত জল থেকে আতঙ্ক। গৃহপালিত কুকুর হোক বা রাস্তার কুকুর হোক সর্বদাই ভ্যাকসিনেশন করা উচিত। তাহলে কুকুর কামড় দিলেও ক্ষতি হবে না।

আমার মতে, কুকুর থেকে বিশেষ করে যেসব পশুদের কামড় বা আঁচড় থেকে বিষক্রিয়া হয় তাদের থেকে দূরে থাকায় ভালো। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনাদের কুকুরের কামড়ালে কি হয় সব জানা হলো। পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন। ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url