গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা

গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। তাই আপনাদের জন্য আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গরুর দুধে কি পরিমান পুষ্টিগুণ রয়েছে তা জানতে পারবেন।

গরুর-দুধের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

গরুর দুধ এমন একটি তরল জাতীয় খাবার যা ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রত্যেকটা মানুষ খেতে পারে। প্রতিদিন সকালে চায়ের কাপে দুধ থেকে শুরু করে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার সময় পর্যন্ত দুধ আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। আর এই গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা

গরুর দুধের উপকারিতা

গরুর দুধের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমরা অনেকেই গরুর দুধের উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে দুধ খেয়ে থাকি। গরুর দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। যা আমাদের দেহকে সুস্থ সবল এবং কর্মক্ষম করে তোলে। শরীরের দুর্বলতা দূর করে শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে।গরুর দুধে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, পটাশিয়াম, এবং ভিটামিন বি২ যা হাড়, দাঁত, পেশী ও রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।

  • গরুর দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। মানব শরীরে ৯৯% ক্যালসিয়াম থাকে হাড়ে। গরুর দুধে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক।প্রতিদিন এক গ্লাস গরুর দুধ খেলে হাড় ভাঙার আশঙ্কা ৩৫% কমে। তাই গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।
  • দুধে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ফিটনেস বাড়ায় ও মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে। দুধ পানে ঘুমের উদ্রেক হয়, যার ফলে মস্তিষ্ক শিথিল থাকে ও মানসিক চাপমুক্ত হয়। সারাদিনের মানসিক চাপ দূর করে শান্তির ঘুম নিশ্চিত করতে প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করুন।
  •  দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা মাংশপেশির গঠনে সহায়তা করে ও মাংশপেশির আড়ষ্টতা দূর করে। নিয়মিত ব্যায়ামের ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস দুধ খুবই উপকারী। শিশুদের মাংশপেশির গঠন উন্নত করতেও প্রতিদিন দুধ পান করা উচিত।
  • যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর হয়। তবে যদি দুধ জাতীয় খাবারে এলার্জি না থাকে। আবার রাতে ভালো ভাবে ঘুমানোর জন্য এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খেলেই ঘুম ভালো হয়।
  • দুধ ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে দুধ খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে তাই ঘন ঘন খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এতে করে ওজন কমানো সহজ হয়। যারা ডায়েট করেন অথবা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।
  • গরুর দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যাদের শরীর দুর্বল তারা নিয়মিত দুধ পান করলে শরীর শক্তিশালী এবং সতেজ হয়। দুধ শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম কে শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • গরুর দুধ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত পরিষ্কার করার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।

গরুর দুধের অপকারিতা

আমরা জানি সব জিনিসেরই ভালো দিক থাকলে খারাপ দিকও রয়েছে। ঠিক তেমনি গরুর দুধের অনেক উপকারিতার পাশাপাশি অনেক অপকারিতাও রয়েছে। এই অপকারিতার দিক যদি আমাদের জানা না থাকে তাহলে দুধ পান করার পর বিপদে পড়তে হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত যে দুধ খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনা করি।

  • যাদের শরীরে ল্যাকটোজ নামক এনজাইমের অভাব রয়েছে তাদের দুধ খেলে বদহজম, পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়ার মত সমস্যা হতে পারে। তাই যাদের এই সমস্যা হয় তারা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • যেকোনো অপারেশনের পর দুধ খাওয়া নিষেধ। কারণ দুধ অপারেশনের স্থানে পচন ধরতে পারে। বিশেষ করে সিজার রোগীদের জন্য দুধ খাওয়া নিষেধ।
  • অনেকেই দেখা যায় দুধ খেলে পেটে আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এদের দুধ খাওয়া উচিত নয়। এরা যদি দুধ খায় তাহলে বদহজম, অম্বল অথবা ডায়রিয়ার মত সমস্যা হতে পারে।
  • যাদের কিডনিতে পাথর রয়েছে তাদের দুধ হজম হয় না। তখন পেটের নানারকম সমস্যা শুরু হয়। তাই দুধ না খাওয়ায় শ্রেয়।
  • অনেকেরই দেখা যায় দুধে এলার্জি রয়েছে। যাদের দুধ খাওয়ার পর শরীরে চুলকানি বা র‍্যাশ জাতীয় কোন ফুসকুড়ি দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে দুধে এলার্জি রয়েছে। তারা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা

রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। কারণ রাত্রে শরীর স্থির থাকে এতে করে শরীরের যাবতীয় অংশের কার্যক্ষমতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। তাই রাত্রে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করলে আমাদের স্নায়ুকে শীতল করে দেয় এবং ভালো ঘুম এনে দেয়। সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয় ভালো ঘুম হলে আর এই ঘুমের জন্য একগ্লাস কুসুম গরম দুধ যথেষ্ট উপকারি।

আরো পড়ুনঃমাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায়

দুধে আছে ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়াম, যা হাড় মজবুত করারজন্য প্রয়োজন। অধিকাংশ নারীদেরই বয়স বৃদ্ধির সাথে অস্টিওআরথ্রারাইটিস ও বাতের সমস্যা দেখা দেয়। নিয়ম করে প্রতিদিন রাতে দুধ খেলে এ ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস লো-ফ্যাট দুধ খেলে শরীরের কোলেস্টেরল লেভেল অনেকটাই কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। গরুর দুধ ভিটামিন এ, ডি এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ, যা আমাদের হৃদযন্ত্রকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার কোন ধরা বাধা কোন নিয়ম নাই। গর্ভাবস্থায় দুধ খেলে মায়ের পাশাপাশি সন্তানেরও অনেক উপকারে আসে। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় খাবার নিয়ে একটু বেশি যত্নবান হয়ে ওঠে অনেক মায়েরা। কারণ গর্ভাবস্থায় আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি দরকার হয়। আর এই সবগুলো উপাদান রয়েছে দুধে। 

গর্ভকালীন সময়ে আপনার ক্যালসিয়ামের সব চেয়ে বড় উৎস হচ্ছে দুধ। পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ আপনার গর্ভের সন্তানের মিনারেলের চাহিদা পুরন করবে।এই সময়ে আপনার ১০০০ থেকে ১৩০০ মি গ্রা ক্যালসিয়াম দরকার যা ৫০০ বা আধা লিটার দুধে থাকে। মনে রাখবেন আপনার এই সময়ে খাওয়া খাবার থেকেই আপনার সন্তান সকল রকমের পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে তাই তার মিনারেলের ঘাটতি পুরন করতে আপনি নিয়মিত দুধ খেতে হবে।

কাঁচা দুধ খেলে কি হয়

কাঁচা দুধ খেলে কি হয় এটা অনেকেই জানেন না। কাচা দুধ এবংপাস্তুরিত উপাদান একই থাকে। তবে অনেকেই মনে করেন যে, কাঁচা দুধের উপকার অনেক বেশি। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। কাঁচা দুধ খেলে শরীরে একাধিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কাচা দুধে সালমোনিলা নামক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।

গরু বা দুধ কাঁচা অবস্থায় খেলে নানা রকমের ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। যে কারণে বমি, ডায়ারিয়া থেকে শুরু করে একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, বরং নিয়মিত কাঁচা দুধ খেলে দীর্ঘমেয়াদে আর্থ্রাইটিস, গ্যাসট্রাইটিসের মতো জটিল রোগে পড়তে পারেন।

প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু দুধ খেলে সুবিধা হবে এবং কোন ক্ষতি করবে না তার জন্য কিন্তু আপনাদেরকে আজকের আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিতে হবে প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত।

দুধের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ প্রোটিন এবং উপকারী ফ্যাটের ভাণ্ডার রয়েছে তাই দুধের গ্লাসে চুমুক দিলেই যে দেহের পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে এমন কিছু নয়। অতিরিক্ত দুধ খাওয়ার ফলে কিন্তু বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এর জন্য বিশেষজ্ঞরা বলেছে, দিনে ১ থেকে ২ গ্লাস দুধ খাওয়া যাবে। কিন্তু এর বেশি দুধ খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে এই জন্য নিয়মিত যদি দুধ খেতে চান তাহলে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর।

দুধের পুষ্টিগুণ উপাদান 

দুধ এমন এক ধরনের স্বয়ংসম্পূর্ণ খাবার যে শুধুমাত্র দুধ খেয়েই বেশ কয়েকদিন দিব্যি বেঁচে থাকা যায়। দুধে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি ১২ এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। এক গ্লাস, অর্থাৎ ২৫০ মিলি দুধে কী পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে জানেন? তাহলে চলুন চাট আকারে আপনাদের সামনে তুলে ধরা যাক-

পুষ্টি উপাদান পরিমাণ
পানি ৮৬.৫%
ল্যাকটোজ ৪.৮%
ফ্যাট ৪.৫%
প্রোটিন ৩.৫%
ভিটামিন ও খনিজ ০.৭%

বাচ্চাদের প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত

ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয় মাত্রা না পেলে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। শিশুর বিকাশের বছরগুলোতে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রয়োজন, যা হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করে। একজন সুস্থ ১২ মাস বয়সী শিশুকে গরুর দুধ খাওয়ানো যেতে পারে। ১ থেকে ২ বছরের বাচ্চাকে দিনে দুই থেকে তিন কাপ এবং দুই থেকে পাঁচ বছরের বাচ্চাকে ২ থেকে ২.৫ কাপ দুধ খাওয়াতে হবে। কিশোর বয়সে হাড় দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

ক্যালসিয়াম ছাড়া, দুধে নয়টি অপরিহার্য পুষ্টির প্রাকৃতিক উৎস রয়েছে। যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১২, রিবোফ্লেভিন এবং জিঙ্ক। যা রক্তের গঠন, অনাক্রম্যতা, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, পেশি এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা, শক্তি, বৃদ্ধি এবং কোষ মেরামতের জন্য উপকারী। কিশোর বয়সীদের এক গ্লাস অর্থাৎ ২৫০ মিলি দুধ পান করতে পারে।

বেশি বয়সে অনেকেরই প্রদাহ, ওজনাধিক্য, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। অতএব, দুগ্ধজাত সামগ্রী বিশেষভাবে বেছে খেতে হবে। দুধের সামগ্রী হাড়ের ঘনত্ব ভালো রাখে সুস্থ জীবন পরিচালনার সহজ করে। বড়দের জন্য সেরা দুগ্ধজাত পণ্য-ক্রিম বা মালাই দিয়ে স্কিমড দুধ। প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন এক কাপ দুধ পান করতে পারেন।

শেষ কথাঃ গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গরুর দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আপনি যদি নিয়মিত এবং পরিমাণমতো গরুর দুধ পান করেন তাহলে আপনার শরীর সুস্থ সবল এবং শক্তিশালী ও রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

আমার মতে,অতি মাত্রায় দুধ খাওয়া উচিত না। অনেকে আছেন প্রতিদিন অনেক দুধ খেয়ে থাকেন। প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস বা ২ গ্লাস দুধ খেতে পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত দুধ খেলে উপকারের চেয়ে অপকারি বেশি হতে পারে। তবে দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা হিসাবে করলে দেখা যাচ্ছে দুধের উপকারিতার পরিমানি বেশি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফকটেক ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url